UsharAlo logo
বুধবার, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনাবৃষ্টিতে বিপর্যয়ের মুখে চিংড়ি চাষ

koushikkln
আগস্ট ৩১, ২০২২ ৭:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কপিলমুনি(খুলনা) সংবাদদাতা : খুলনার কপিলমুনিতে চিংড়ি চাষীরা বিপর্যয়ের মুখে পড়তে যাচ্ছে। এক দিকে অনাবৃষ্টি অন্যদিকে প্রচন্ড তাপদাহের কারণে চিংড়ি চাষীদের কপালে এখন চিন্তার ভাজ।

উপজেলার অন্যতম চিংড়ি চাষক্ষেত্র কপিলমুনি, বলাচলে একটি নিবিড় চিংড়ি চাষ এলাকা। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এই এলাকাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। চিংড়ি উৎপাদনের পাশাপাশি এই খাতে অসংখ্য বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। এই অঞ্চলে অর্থনীতিতে মারাত্মক বিপর্যয় নেমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট চাষীরা। পাশাপাশি অসংখ্য শ্রমিক যুবক তারা তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বে।

জানা গেছে, পোনার দাম বৃদ্ধি, অনাবৃষ্টি ও প্রচন্ড তাপদাহের কারণে প্রায় প্রতিটি ঘেরে বাগদা চিংড়িতে মড়ক দেখা দিয়েছে। মৎস্য ঘেরে এক ধরনের কাটা শেওলার জন্ম হয়ে থাকে যেটা বাগদা চিংড়ীর খাদ্য ও পুষ্টি যোগায়, কিন্তু এ বছর এক ধরনের পোকা এই শেওলা কেটে অধিকাংশ ঘের উজাড় করে দিয়েছে। খাদ্য সংকট, অনাবৃষ্টি, অধিক তাপ, প্রাকৃতিক খাদ্যের ঘাটতি, সব মিলিয়ে চিংড়ি চাষিদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। নতুন করে যে সময় পোনা ছাড়ার ভরা মৌসুম ঠিক সেই সময় সরকার নদী বা সাগর থেকে রেনু পোনা আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় চিংড়ি চাষীরা মহা সংকটে পড়বে বলে মনে করছেন তারা।

তারা জানান, প্রাকৃতিক পোনা বাগদা চাষীদের জন্য একটি আশীর্বাদ, এই পোনা জীবাণুমুক্ত এবং মৃত্যুর হার কম এর পাশাপাশি দ্রæত বর্ধনশীল। সরকার নদী বা সাগর থেকে রেনু পোনা আহরণ নিষিদ্ধ করায় সুযোগটাকে কাজে লাগায় হ্যাচারি কোম্পানিগুলো।

কপিলমুনির কাশিমনগরের পরিমল দাশ জানান, চিংড়ি চাষে কোন কোন সময় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রতি বছর এ সময় চাষীরা সাদা মাছের পোনা ছেড়ে ক্ষতির পরিমান কিছুটা পুষিয়ে নিতেন, কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ার কারণে পানির লবনাক্ততা এত পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে যে এবার সাদা মাছের পোনা ছাড়তে সবাই শংকিত হয়ে পড়েছেন, অতিরিক্ত লবনযুক্ত পানির জন্য সাদা মাছ মারা যায়। সব মিলিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে সম্ভাবনাময় এ চিংড়ি খাতে।

এলাকার চিংড়ি চাষী আনিচুর রহমান বলেন, ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে চিংড়ি চাষ করেছি, কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় চিংড়ি ঘেরে পানি কম থাকা, তাপ মাত্রা বেশি ও লবনাক্ততার জন্য রেনু ছাড়তেই মারা যাচ্ছে। তাছাড়া গত বছরের তুলনায় চিংড়ির বাজার মূল্য কম। এবস্থায় কিভাবে ব্যাংক লোন শোধ করবো আর সংসারের ঘানি টানবো ভেবে পারছি না।