ঊষার আলো রিপোর্ট : বিগত সরকারের শাসনামলে বিভিন্ন প্রকল্পে যে ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে, তা আজ কারও অজানা নয়। তবে সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ কি পড়েছে? শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘সোশ্যাল প্রোটেকশন ফর দি ওয়ার্কারস ইন দ্য টেক্সটাইল অ্যান্ড লেদার সেক্টর’ (এসওএসআই) প্রকল্পের অনুদানের টাকা নিয়ে রীতিমতো নয়ছয়ের আয়োজন করা হয়েছে। জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে জার্মান উন্নয়ন সংস্থার (জিআইজেড) দুবছর মেয়াদি এ প্রকল্পে প্রায় ৮৩ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভায় এটির বিষয়ে পর্যালোচনাকালে ব্যয়ের চিত্র দেখে সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। এ ধরনের প্রকল্পে এভাবে অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে প্রকৃত লক্ষ্য অর্জন করা কখনো সম্ভব হবে না বলেও মত দেন অনেকে। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আলোচ্য প্রকল্পের পর্যালোচনা সভার সভাপতি পরে জানিয়েছেন, প্রকল্পের সব খাতের ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনার সুপারিশ করা হচ্ছে।
এ প্রকল্পের খরচ যারা নির্ধারণ করেছেন, তাদের উদ্দেশ্য যে ভালো নয়, তা বলাই বাহুল্য। দেশ যখন দুর্নীতিমুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে ধাবিত হয়েছে, তখন প্রকল্প ব্যয়ের প্রস্তাবনার এমন চিত্র স্বাভাবিকভাবেই সে উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। তাই শুধু এ প্রকল্পই নয়, সব প্রকল্পের বিষয়েই অবিলম্বে পুনর্মূল্যায়নের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি বলে মনে করি আমরা। সমাজ ও রাষ্ট্রের স্বার্থেই তা করা দরকার। কারা এ ধরনের ব্যয় নির্ধারণ করেছে, তাদেরও চিহ্নিত করতে হবে। দুর্নীতি রোধে কোনো আপস করা চলে না, কারণ দেশবাসীর জীবনমানের উন্নয়নের সঙ্গেও এর একটা বড় সম্পর্ক রয়েছে। দুর্নীতি প্রতিরোধে যা যা করণীয়, এর সবই অন্তর্বর্তী সরকার করবে, এটাই প্রত্যাশা।
ঊষার আলো-এসএ