ঊষার আলো রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভার সাইডলাইনের বৈঠকে বাংলাদেশের অনুকূলে আইএমএফের বাড়তি ঋণ সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। আইএমএফের নির্বাহী কমিটি বা পর্ষদ সভার বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। নভেম্বরের শেষ দিকে বা ডিসেম্বরের শুরুতে ওয়াশিংটনে আইএমএফের সদর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। অনেকেই ধারণা করেছিলেন বার্ষিক সভার বৈঠক চলার সময়েই বাংলাদেশের সঙ্গে আইএমএফের সাইড লাইনের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভা শনিবার শেষ হয়েছে। রোববার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বৈঠক শেষ হবে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে একটি প্রতিনিধিদল অংশ নিয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধিদলে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, অর্থ সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব প্রমুখ।
প্রতিনিধিদলটি বার্ষিক সভা চলার সময়ে সাইড লাইনে আইএমএফের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে। ওইসব বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে বাড়তি ঋণ সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এতে আইএমএফের পক্ষে আরও কিছু নতুন সংস্কারের কথা হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে বলা হয়েছে, সরকার সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে। এগুলো করতে সময় লাগবে।
পরে আইএমএফের পক্ষে বলা হয়, এ বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত দেওয়া সম্ভব নয়। তারা আইএমএফের নির্বাহী পরিষদের বৈঠকের জন্য বাংলাদেশ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে। তাতে বাংলাদেশের বাড়তি সহায়তার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরা হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাহী পরিষদ। নভেম্বরের শেষ দিকে বা ডিসেম্বরের শুরুর দিকে নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশের প্রসঙ্গটি উপস্থাপন করা হবে।
সূত্র জানায়, আইএমএফের ঋণ সহায়তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিষদের সভায় চূড়ান্ত হয়ে থাকে। বার্ষিক সভায় কোনো দেশকে কেমন ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে সে বিষয়ে এবার আলোচনা করে একটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। এর আলোকে নির্বাহী পরিষদ পরে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবে।
এর আগে ২০২২ সালে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিলে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আইএমএফের কাছে ঋণ চায়। আইএমএফ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের অনুকূলে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। ওই বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতেই প্রথম কিস্তির অর্থ ছাড় করে। জুনে তৃতীয় কিস্তি বাবদ ছাড় করেছে ১১৫ কোটি ডলার। এ নিয়ে তিন কিস্তিতে আইএমএফ থেকে পেল ২৩০ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
ঊষার আলো-এসএ