UsharAlo logo
শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগনেতা সোহরাবের উপর হামলা: ঘটনাস্থলে দলীয় নেতৃবৃন্দ

koushikkln
ডিসেম্বর ১৩, ২০২২ ১১:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : পাইকগাছার লতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহরাব হাওলাদারের উপর হামলার ঘটনার একদিন পর ঘটনাস্থলে গিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় নেতৃবৃন্দ। গত রোববার (১১ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে কাঠামারী বাজারের টি স্টলের সামনে হামলার শিকার হন আওয়ামী লীগনেতা সোহরাব হাওলাদার। তিনি বর্তমানে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলার প্রকৃত এ ঘটনা জানতে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে ঘটনাস্থলে যান দলীয় নেতৃবৃন্দ।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু’র নেতৃত্বে দলীয় নেতৃবৃন্দ কাঠামারী বাজারে যান এবং সেখানে গিয়ে স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মী, প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করেন এবং আওয়ামী লীগনেতা সোহরাব হাওলাদারের সার্বিক খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করেন।

উল্লেখ্য গত রোববার বিকালে লতা ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় লতা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলন চলাকালীন সময়ে নেতা নির্বাচন নিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে কিছুটা কথা কাটাকাটি হয় আওয়ামী লীগনেতা সোহরাব হাওলাদার ও সাবেক ইউপি সদস্য আলমগীর খলিফার সাথে। বিষয়টি সাথে সাথেই নিরসনও করা হয়। সম্মেলন শেষে রাত ৯টার দিকে সম্মেলন স্থল থেকে বেশ অনেকটা দুরে কাঠামারী বাজারের উত্তরপাশে সনজিৎ বিশ^াসের চায়ের দোকানের সামনে হামলার শিকার হন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহরাব হাওলাদার। মঙ্গলবার সরেজমিন গেলে স্থানীয় কুমারেশ মন্ডল জানান, সম্মেলনের সাথে এ হামলার কোন যোগসূত্র আছে বলে আমি মনে করিনা। ইউপি সদস্য শওকত হাওলাদার জানান, যিনি হামলার শিকার হয়েছেন তিনি আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আমি হাসপাতালে তাকে দেখতে গিয়েছি। তিনি বর্তমানে অনেকটাই সুস্থ্য রয়েছেন। চায়ের দোকানদার সনজিৎ বিশ^াস জানান, সোহরাব হাওলাদার আমার দোকানের সামনে গিয়ে আমার কাছে চা চেয়েছে। এর মধ্যে হঠাৎ ১০/১২ জন লোক লাঠিসোটা নিয়ে তার উপর হামলা করে। যারা হামলা করেছে তাদের কাউকে আমি চিনতে পারিনি। সাবেক যুবলীগনেতা মাহফুজুর রহমান বাশার জানান, আমি তখন কাঠামারী বাজারে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ চিৎকারের শব্দ শুনে ছুটে গিয়ে দেখি বেশ কয়েকজন লোক সোহরাব হাওলাদারকে মারপিট করছে। আমি তাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করি। তবে তাদের কাউকে দলীয় লোক বলে মনে হয়নি। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদ মঙ্গল চন্দ্র মন্ডল ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নির্মল চন্দ্র বৈদ্য জানান, যেখানে হামলা হয়েছে এখান থেকে সম্মেলন স্থল অনেক দুরে এবং সম্মেলনের পরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে হামলাকারী যারাই হোক তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়াদ্দার বলেন, সোহরাব একজন ত্যাগী নেতা। আমরা সবাই তার উপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ^াস জানান, যেহেতু সম্মেলনের পরেই হামলার এ ঘটনা ঘটেছে সেহেতু জামায়াত বিএনপি’র এ হামলার সাথে যোগসূত্র আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ^াস জানান, হামলাকারী যদি কেউ দলের হয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা এবং যদি বহিরাগত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার ইকবাল মন্টু জানান, সোহরাব আমাদের দলের একজন নিবেদিত নেতা। তার উপর হামলার ঘটনায় আমরা দলের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় সকলের সাথে কথা বলে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করেছি। এ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাক তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি দলের পক্ষ থেকে সোহরাব হাওলাদারের চিকিৎসা সহ সার্বিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে বলে দলীয় এ নেতা জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আবুল কালাম আজাদ, সহকারী অধ্যাপক ময়নুল ইসলাম, আওয়ামী লীগনেতা অনীল কৃষ্ণ সরকার, আজিজ সরদার, শুভঙ্কর রায়, আনন্দ সরকার, সদানন্দ মন্ডল, বিপুল বিশ^াস, ইউপি সদস্য স্বপন কুমার মন্ডল, পুলুকেশ রায়, কুমারেশ মন্ডল, ফেরদৌস ঢালী, চম্পা বেগম, বিজন হালদার, সাইফুল ইসলাম, আজিজুল বিশ^াস, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি বিদ্যুৎ কুমার মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক পলাশ কুমার বাছাড়, যুবলীগনেতা মৃগাঙ্গ বিশ^াস।