আব্দুল করিম-সবুরন্নেছা বেগম ফাউন্ডেশন খুলনার উদ্যোগে ‘সংযম-সাধনা ও আত্মশুদ্ধির মাস মাহে রমজান’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং বৃত্তি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। শনিবার (১৫ মার্চ) নগরীর মুজগুন্নী আর্ট ইয়ার্ড ক্যাফেতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার প্রফেসর মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। কারণ আল্লাহ মানুষকে জ্ঞান এবং বিবেক দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। সেই বিবেক এবং জ্ঞানের মাধ্যমে আল্লাহর সৌন্দর্য পৃথিবীতে বিকশিত করতে হবে। তিনি বলেন, আল্লাহ অন্তর্জামি। তিনি সবকিছু জানেন। পবিত্র রমজান আত্মত্যাগের মাস। এটা শ্রেষ্ঠত্ব অনুশীলনের অন্যতম সময়। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। কোন জায়গায় ফাঁক নেই। শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে গেলে যা যা লাগে তা ইসলামী জীবন ব্যবস্থার মধ্যে ঢেলে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের যে সম্পদ আছে তা দিয়ে প্রয়োজন মেটাতে পারি। কিন্তু মানুষের মধ্যে একটা লোভ কাজ করে, সেটা আমাদের সংশোধন করতে হবে। লোভ পরিত্যাগ করতে পারলে তবেই আমরা সৃষ্টির সেরা হতে পারবো। আব্দুল করিম-সবুরন্নেছা বেগম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি, খুলনার ডিন প্রফেসর জালাল উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক আবুল হাসান হিমালয়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মাদ গোলজার হোসাইন। তিনি দোয়াও পরিচালনা করেন। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তৃব্য দেন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক গাজী আলাউদ্দিন আহমদ। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সিনিয়র সাংবাদিক শেখ দিদারুল আলম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ রেজিস্ট্রার জিএম লুৎফর রহমান, নাগরিক নেতা মানবাধিকার কর্মী সরদার আবু তাহের ও বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী রিনি খাতুন। এর আগে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তেলাওয়াত করেন মুজগুন্নী বায়তুল আযীম জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোহা. আলমগীর হুসাইন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ৯ টি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও থ্যালাসিমিয়ায় আক্রান্ত একজন কিশোরকে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং ডুমুরিয়ার রুদাঘরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তির টাকা হস্তান্তর করা হয়।
ঊআ-বিএস