ঊষার আলো রিপোর্ট: সিলেটের একমাত্র স্থলবন্দর তামাবিল। পাথর, চুনাপাথর, কয়লা আমদানিতে সারা বছরই সরব থাকে বন্দরটি। বছরে প্রায় শত কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয় পণ্য আমদানি থেকে। কিন্তু পাঁচ দিন ধরে এ স্থলবন্দর দিয়ে বন্ধ আমদানি। পণ্য পরিমাপে ‘অটোমেশন’ পদ্ধতি চালুর পর ব্যবসায়ীরা বন্ধ করে দিয়েছেন আমদানি। তাদের দাবি, দুই দেশের স্থলবন্দরে অটোমেশন পদ্ধতি চালু না হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ওপারে ভারতের ডাউকিতে ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে পণ্য পরিমাপ করে এ দেশে এনে অটোমেশনে পরিমাপের পর নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাদের। হঠাৎ আমদানি বন্ধ হওয়ায় সীমান্তের ওপারে পণ্যবোঝাই শত শত ট্রাক আটকা পড়েছে।
আমদানিকারকদের অভিযোগ, সিলেটের শুল্ক স্টেশনগুলো দিয়ে পাথর, চুনাপাথর বা কয়লা আমদানি করতে হলে এ সমস্যায় পড়তে হয় না। শুল্ক স্টেশনগুলোয় ওজনের এত কড়াকড়ি নেই। স্থলবন্দর করও দিতে হয় না। ফলে ভারতের একই জায়গা থেকে পণ্য কিনে যারা তামাবিল দিয়ে আমদানি করছেন তাদের খরচ শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানিকৃত পণ্যের চেয়ে বেশি পড়ছে। ফলে আমদানিকৃত পণ্য বিক্রিতেও মার খাচ্ছেন তামাবিলের আমদানিকারকরা।
তামাবিল স্থলবন্দর হওয়ায় আমদানিকারকদের ট্রাকপ্রতি ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা ‘পোর্ট ট্যাক্স’ দিতে হয়। শুল্ক স্টেশনগুলো এ ট্যাক্সমুক্ত। তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি লিয়াকত আলী বলেন, ‘প্রতিদিন তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ১ হাজারের বেশি ট্রাক পণ্য নিয়ে আসে। এতে সরকারের রাজস্ব আদায় হতো ৫০ লাখ টাকার মতো।
কিন্তু আমদানি বন্ধ থাকায় রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত সরকার।’ সিলেট কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সাবেক সভাপতি মো. এমদাদ হোসেন বলেন, ‘এক প্রান্তে অটোমেশন পদ্ধতি চালু হওয়ায় আমদানিকারকরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ পদ্ধতির কারণে স্থলবন্দর দিয়ে আসা ট্রাক পরিমাপ ও এন্ট্রি করতে সময় বেশি লাগবে। ফলে আমদানিও অর্ধেকে নেমে আসবে। এতে অনেক শ্রমিকও বেকার হয়ে পড়বেন।’
তবে তামাবিল স্থলবন্দরের উপপরিচালক মো. মাহফুজুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘এ স্থলবন্দরে এত দিন ওয়েটব্রিজ দিয়ে পণ্য পরিমাপ করা হতো। স্থলবন্দর ডিজিটালাইজের অংশ হিসেবে অটোমেশন চালু হয়েছে। এতে সেবার মান আরও বেড়েছে।’