UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আরাফার রোজায় মুছে যায় দুই বছরের পাপ

usharalodesk
জুন ২৭, ২০২৩ ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট: ইয়াওমে আরাফা আরবি শব্দ। মানে হলো আরাফার দিন। ৯ জিলহজকে আরাফার দিন বলা হয়। বাংলাদেশের জন্য আরাফার দিন হলো ২৮ জুন বুধবার।

আরাফার একদিনের রোজায় মাফ হয়ে যায় দুই বছরের গুনাহ। সৃষ্টি হয় জাহান্নাম থেকে মুক্তির সম্ভাবনা। এগুলো আবেগী কোনো কথা নয়।  বরং প্রিয় নবীজিই দিয়ে গেছেন এইসব সুসংবাদ। সহিহ মুসলিম শরীফের হাদিস।

নবীজি বলেন— আরাফার দিনের রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, তিনি এই দিনের রোজার বদৌলতে আগের এবং পরের এক বছরের গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেবেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ১১৬২)

শুধু আরাফার দিবস নয় বরং জিলহজের প্রথম দশকই অনন্য মর্যাদার দশক। এই দশকে আমলের অনেক গুরুত্ব। নবীজি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এই দশকে আমল করতেন। তিনি জীবনে একবারও এ দশকের আমল ছাড়েননি।

হজরত হাফসা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত।  তিনি বলেন, ‘নবীজি কখনো চারটি আমল ছাড়তেন না। আশুরার রোজা, জিলহজের প্রথম দশকের রোজা, প্রতিমাসের তিন দিনের রোজা এবং ফজরের আগের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ২৪১৫, মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৬৩৩৯)

যারা জিলহজের শুরু থেকেই আমল করছেন তারা বড়ই সৌভাগ্যবান। কিন্তু যারা তা করতে পারেননি  হতাশা ছাড়া তাদের আর কি কিছু করার নেই? বরং তাদের জন্যও উন্মুক্ত রয়েছে  মুক্তির দরজা।

উম্মুল মুমিনিন  হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। নবীজি বলেন, আরাফার দিনের মতো আর কোনো দিন এত বেশি পরিমাণ মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয় না।  (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৩৪৮)

জিলহজের মর্যাদাপূর্ণ প্রথম দশকের মধ্যে ইয়াওমে আরাফা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। তাই অন্যান্য দিনে সম্ভব না হলেও এ দিনে  আমলের প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।  আর এদিনের আমলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো রোজা রাখা।

তাই যে যেখানে আছি এখনই আরাফার দিনের রোজা রাখার প্রতিজ্ঞা করে ফেলি। আরাফার রোজা রাখতে হলে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সাহরী খেয়ে ২৮ জুন বুধবার রোজা থাকতে হবে। মঙ্গলবার রাতে সেহরি খাওয়া যাবে রাত ৩:৪০ মিনিট পর্যন্ত।

আরাফার রোজায় মুছে যাক পাপের সব কালিমা। জাহান্নামিদের তালিকা থেকে কেটে যাক আমাদের নাম। সবার উপর বর্ষিত হোক রবের রহমত শিশির।

ঊষার আলো-এসএ