সোমবার সকালে কেএমপি’র সদর দপ্তরে পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবার সভাপতিত্বে শুভ বড়দিন উদযাপন উপলক্ষ্যে খ্রিস্টান ধর্মালম্বী নেতৃবর্গের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতেই পুলিশ কমিশনার সকলকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। যীশু খ্রীষ্টের অমীয় বাণী স্মরণের মাধ্যমে সকলকে স্বাগতম জানান।
তিনি এ সময় সকলকে ছিদ্রান্বেষী না হওয়া, প্রতিবেশীকে ভালোবাসা, মিথ্যা না বলা সংক্রান্তে যীশু খ্রিস্টের উক্তি সকলকে স্মরণ করিয়ে দেন।
একই সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের অভিলাষ অসাম্প্রদায়িক বাংলা গড়ার প্রত্যয় ও স্বপ্ন তাঁর শুভেচ্ছা বাণীতে উঠে আসে।
অত:পর খ্রিস্ট ধর্মালম্বী নেতৃবৃন্দের সকলের সাথে পরিচয় পর্ব সম্পন্ন হয়। কেএমপি’র পক্ষ থেকে আসন্ন বড়দিনের উৎসব উদযাপনের প্রাক্কালে গৃহীত নিরাপত্তা পরিকল্পনা জানানো হয়। অতঃপর খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। আগত নেতৃবৃন্দ এবারের গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রশংসা করেন এবং সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
একই সাথে বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে নিয়মিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি তারা নিজেরাও তাদের স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন।
অবশেষে মতবিনিময় সভার সভাপতি পুলিশ কমিশনার প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
সকল ধর্মাবলম্বীদের জন্যই শিক্ষণীয় মহামতি যীশুর বাণী যীশু খ্রিস্টের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন- “ক্ষমা করো, তুমিও ক্ষমা পাবে। ধার দিও বিনিময়ে তুমিও মহা পুরষ্কার পাবে। ধন্য দীন হীনেরা, কারণ ঈশ্বরের রাজ্য তাদেরই। যে চাদর নেয় তাকে তোমার জামাটাও দিয়ে দিও। কেউ তোমার কিছু নিলে তা ফেরত চেওনা। যে তোমাকে ভালবাসে শুধু তাদেরই ভালবাসলে তোমার কৃতিত্ব কোথায়? পাপীরাও তো তাই করে।
অতঃপর সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে কেক কেটে আসন্ন বড়দিনকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য সমাপ্ত করেন।
এ সময় কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) জনাব সরদার রকিবুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) জনাব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিবি) জনাব বি.এম নুরুজ্জামান, বিপিএম; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস অ্যান্ড সাপ্লাই) জনাব এম এম শাকিলুজ্জামান; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) জনাব মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জনাব মনিরা সুলতানা আক্তার;
খুলনা বাংলাদেশ ক্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিস্টার তুষার দোবে বাবলু; পালক প্রধান ব্যাপটিস্ট চার্চ রেভারেন্ড জগদীশ বাস্কে; চার্চ অব বাংলাদেশ রেভারেন্ড মণীন্দ্র বৈদ্য ডিন; গল্লামারি খুলনা রমেন বৈরাগী; খুলনা ক্যাথলিক ধর্ম প্রদেশ বিশপ জেমস রমেন বৈরাগী; খুলনা ক্যাথলিক ধর্ম প্রদেশ ভিকার জেনারেল ফাদার জ্যাকব এস বিশ্বাস; খুলনা এজি চার্চ, রুপসা, খুলনার রেভারেন্ড জোনাথন এল মুন্সি এবং কয়লাঘাট ব্যাপ্টিস্ট চার্চের জেমস বাবলু বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।