ঊষার আলো প্রতিবেদক : খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ব নয়টিসহ দেশের বন্ধ ঘোষিত ২৬টি পাটকল চালু, বদলি শ্রমিকদের এরিয়ার টাকা ঈদের আগেই প্রদান, ২০১৯ সালের ছয় সপ্তাহের মজুরির টাকা এবং নাম ও মামলা জটিলতায় ভুক্তভোগী সকল শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা অবিলম্বে পরিশোধসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে পাটকল শ্রমিকরা।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত নগরীর শিববাড়ী মোড়ে পাটকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্যের উদ্যোগে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনে সমন্বয়ক রহুল আমিন।
মানববন্ধনে শ্রমিক নেতারা বলেন, পাটকল বন্ধের সময় আমাদের বলা হয়েছিলো তিন মাসের মধ্যে মিল চালু হবে। কিন্তু তার পর তিন বছর পার হতে চললো এখনো মিল চালু হয়টি। উপরন্তু আমাদের পাওনা টাকা না দেয়ার ফলে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
তারা বলেন, খুলনা অঞ্চলের ৫টি পাটকলের ১১ হাজার শ্রমিকের মজুরি বকেয়া আছে। আর দেশের অন্য ২০টি পাটকলের ১৮ হাজার বদলি শ্রমিকও পাওনা বুঝে পাননি। এছাড়া খুলনা অঞ্চলের পাটকলগুলো বন্ধ করে দেওয়ার ফলে প্রায় ৬০ হাজার শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। শুধু তাই না শ্রমিকদের পাশাপাশি এই শিল্পসংশ্লিষ্ট প্রায় তিন কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকার উপর কালো ছায়া নেমে এসেছে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শ্রমিক নেতারা সরকারের পাটনীতি নিয়েও সমালোচনা করেন। তারা বলেন, পাটকলগুলোর এই করুণ পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশনের (বিজেএমসি) কর্মকর্তারা দায়ী।
শ্রমিক নেতারা আরো বক্তারা বলেন, ঈদের আগে যদি শ্রমিকদের পাওরা বুঝিয়ে দেওয়া না হয় তাহলে প্রয়োজনে ঈদের দিন থেকে আমরা পাওনার দাবিতে রাস্তায় অবস্থান নেবো। এছাড়া ধারবাহিক যে সকল কর্মসূচি নেবো তার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুমতিও চাইবো না।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন নাগরিক নেতা অ্যাডভোকেট আ ফ ম মহসিন, শ্রমিক নেতা মনির হোসেন, আলমগীর কবির, আব্দুল হাকিম, শামিম খান, মোশারফ হোসেন, শফিউদ্দিন শফি প্রমুখ।