ঊষার আলো ডেস্ক : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এর সাথে ১১ ডিসেম্বর (রবিবার) দুপুরে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. সাইফুদ্দিন শাহ্। উপাচার্য তাঁকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে তার দায়িত্ব গ্রহণের পর গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে অবহিত করেন এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে অভীষ্টে এগিয়ে নিতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও সিনিয়র শিক্ষক-গবেষক হিসেবে তাঁর সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রত্যাশা করেন।
এসময় তিনি প্রাক্তন উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট ও স্মারক উপহার প্রদান করেন। প্রাক্তন উপাচার্য তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, গত দু’দিন তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান ঘুরেছেন, উন্নয়ন কার্যক্রম দেখেছেন। নতুন উপাচার্যের নেতৃত্ব সাম্প্রতিক বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নে যে অগ্রগতি হয়েছে তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক বলে তিনি অভিহিত করেন। দৃশ্যমান উন্নয়ন এবং বিশেষ করে শিক্ষা-গবেষণায় যে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাতে শীঘ্রই এ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানে উন্নীত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব। তিনি উপাচার্যের কর্মমেয়াদের সাফল্য কামনা করেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, স্থাপত্য ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. শেখ সিরাজুল হাকিমসহ কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
খুবি উপাচার্য সকাশে সাইআর্ক পরিচালক
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এর সাথে ১১ ডিসেম্বর (রবিবার) দুপুরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিশ্বব্যাপী পুরাকীর্তি ও ঐতিহ্য স্থাপনা ডিজিটালি সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সাইআর্ক ( Cyark ) এর প্রোগ্রাম এন্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক কেসি হাদিক ( Kacey Hadick )। তিনি উপাচার্যকে সাইআর্ক এর কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে এ অঞ্চলের পুরাকীর্তি ও ঐতিহ্য স্থাপনা ডিজিটালি সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। উপাচার্য এ উদ্যোগকে ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিক্ষা ও গবেষণার বিচারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করেন এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের সাথে এ যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানান। স্থাপত্য ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. শেখ সিরাজুল হাকিম, ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর খো. মাহফুজ উদ দারাইনসহ সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ৯-১২ ডিসেম্বর থ্রিডি ডকুমেন্টেশন অব কালচারাল হেরিটেজ শীর্ষক ৪ দিনব্যাপী কর্মশালায় যোগ দিতে সাইআর্ক পরিচালক এবং প্রোডাকশন ম্যানেজার বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করছেন। স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে।
খুবির এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনে পিএইচডি গবেষণার
চূড়ান্ত ফলাফল উপস্থাপনা পর্যবেক্ষণ করলেন উপাচার্য
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক বিধান চন্দ্র সরকারের পিএইচডি গবেষণার চূড়ান্ত ফলাফল উপস্থাপনা পর্যবেক্ষণ করলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। ১১ ডিসেম্বর (রবিবার) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন অফিসের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এই গবেষণার চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপন করেন গবেষক নিজেই। তিনি দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে সূর্যমুখী চাষে নাইট্রোজেন ব্যবস্থাপনা এবং লবণাক্ততার প্রভাব এর উপর এই গবেষণা করেন। তার গবেষণার শিরোনাম হচ্ছে ‘নাইট্রোজেন ম্যানেজমেন্ট অব সানফ্লাওয়ার ইন ওয়েট এন্ড স্যালাইন সয়েল অব সাউথ ওয়েস্টার্ন কোস্টাল রিজিওন অব বাংলাদেশ’।
এই উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, তিনজন বিশেষজ্ঞ সদস্য যথাক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর এর প্রফেসর ড. মো. আব্দুল করিম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. আব্দুল কাদের এবং পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণীস্থ বিধান চন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর ড. কৌশিক ব্রহ্মচারী ছাড়াও সার্ক এগ্রিকালচার সেন্টারের পরিচালক ড. মো. বকতিয়ার হোসেন সশরীরে উপস্থিত এবং ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. শামীম আহমেদ কামাল উদ্দিন খান, সয়েল ওয়াটার এন্ড এনভায়রনমেন্ট ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর খন্দকার কুদরতে কিবরিয়া, পিএইচডি গবেষণা সুপারভাইজার প্রফেসর ড. মো. এনামুল কবীর, কো-সুপারভাইজার প্রফেসর ড. মো. ইয়াছিন আলী ও অস্ট্রেলিয়ার মারডক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. রিচার্ড ডব্লিউ বেল, সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষকবৃন্দ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এই গবেষণাকর্মটি সম্পাদিত হচ্ছে।