UsharAlo logo
বুধবার, ২৬শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একই ব্যক্তি পরপর দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়

ঊষার আলো রিপোর্ট
মার্চ ২৪, ২০২৫ ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে একই ব্যক্তি দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না রাখার বিষয়ে একমত পোষণ করেছে বিএনপি। তবে গণভোট, গণপরিষদ নির্বাচন ও রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনের সঙ্গে একমত পোষণ করেনি বিএনপি।

এছাড়া সংস্কার প্রস্তাবে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানকে একই কাতারে আনা সমুচিত হবে না।সংবিধান সংশোধন করা যেতে পারে উল্লেখ করে দলটি বলেছে, এক্ষেত্রে মূলনীতি পরিবর্তন করা যাবে না।

বিএনপি বলছে, গণপরিষদ কিংবা গণভোটের নির্বাচন নয়, আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়া উচিত। সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার আলোচনার ভিত্তিতে এসব সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

রোববার জাতীয় সংসদের এলডি ভবনে পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে লিখিতভাবে মতামত জমা দেয় বিএনপি।

এতে দলটি আরও জানিয়েছে, দুদক সংস্কারের ২০ প্রস্তাবে একমত, প্রশাসন সংস্কারের ২৬ প্রস্তাবের অর্ধেকে একমত রয়েছে। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের আদলে লোয়ার জুডিশিয়ারি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের রিপোর্টে ২৭টির মধ্যে অধিকাংশ প্রস্তাব সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে মত দিয়েছে। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে নির্বাচনে ইসির স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে উল্লেখ করে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের বিষয়ে উচ্চকক্ষে আসন ও মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছে দলটি। তবে একই ব্যক্তি পরপর দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয় এবং নারীদের সংসদীয় আসন সংখ্যা ৫০ থেকে ১০০ করার প্রস্তাবেও একমত রয়েছে।

এদিন দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে সংস্কার প্রস্তাব সম্পর্কে দলীয় মতামত হস্তান্তর করে। এ সময় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিহউল্লাহ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের যে সংস্কার প্রস্তাবগুলোর সঙ্গে বিএনপির ভিন্নমত রয়েছে, সেখানে দলটি পয়েন্টভিত্তিক লিখিত আকারে মতামত দিয়েছে। রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে দলের ৩১ দফা রূপরেখার সঙ্গে মিল রেখেই পাঁচ সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলোর ক্ষেত্রে দলীয় অবস্থান তুলে ধরেছে। দলটি মনে করে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংবিধানের প্রস্তাব স্প্রেডশিটে উল্লেখ করা হয়নি। এটি উচিত ছিল। সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো প্রস্তাব। সেটি পুরোপুরি পরিবর্তন বা সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। অনেকটা পুনর্লিখনের মতো। পঞ্চদশ সংশোধনের আগের অবস্থায় যে প্রস্তাব ছিল, সেটির পক্ষে তারা।

বিএনপি আরও বলছে, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের ক্ষমতা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা ইসির হাতে থাকা উচিত। নির্বাচন কমিশনকে দায়বদ্ধ করার জন্য সংসদীয় কমিটির হাতে ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাবের সঙ্গে একমত নয় দলটি।

সংবিধান, জনপ্রশাসন, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এ পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশের বিষয়ে মতামত চেয়ে ৬ মার্চ ৩৮টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে ‘স্প্রেডশিট’ (ছক আকারে) পাঠিয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বিএনপি সংস্কার কমিশনগুলোর রিপোর্টের ওপর বিস্তারিত মতামত তুলে ধরেছে। সঙ্গে স্প্রেডশিটও দিয়েছে।

রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে একমত নয় : সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান এক কাতারে নিয়ে আসা হয়েছে, যা আমরা সমুচিত বলে মনে করি না। ২৪-জুলাই বিপ্লবে তফশিলের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার সুযোগ রয়েছে, তা আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে প্রকাশ করব। ওনারা (সংস্কার কমিশন) শুরু করেছেন রিপাবলিক বা দেশের নাম পরিবর্তন দিয়ে। গণপ্রজাতন্ত্রের পরিবর্তে নাগরিকতন্ত্র রাখার যৌক্তিকতা নেই। দীর্ঘদিন প্র্যাকটিসের মাধ্যমে জনগণ রাষ্ট্রের নাম মেনে নিয়েছে, ফলে নাম পরিবর্তন করে কী অর্জন হবে, প্রশ্নের দাবি রাখে। আমরা এ বিষয়ে একমত নই।

এছাড়া মৌলিক অধিকার ও মূলনীতির ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তনে কমিশনের প্রস্তাবেও পুরোপুরি একমত পোষণ করেনি বিএনপি। দলটি লিখিত প্রস্তাবে জানায়, বর্তমানে সাংবিধানিক ধারাগুলো আছে, অনুচ্ছেদগুলো আছে, তার মধ্যে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের প্রস্তাব অনুসারে মূলনীতির মধ্যে যেসব প্রস্তাব আছে, এর হয়তো সংশোধনী আনা যায়। এক্ষেত্রে পঞ্চদশ সংশোধনীর পূর্বাবস্থায় বহাল রাখার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের অংশটি সংবিধানের অন্য জায়গায় কীভাবে চতুর্থ তফশিল যুক্ত করা যায়, সেটা আলোচনা করা যায়। এখানে সরকারের কোনো লেজিটেমেসির অভাব আছে বলে আমরা মনে করি না। এ সরকার সাংবিধানিকভাবেই গঠিত হয়েছে। আর্টিক্যাল ১০৬ অনুসারে সুপ্রিমকোর্টের মতামতের ভিত্তিতে অ্যাডভাইজরি রোল হিসাবে যেটা আছে, সেটার ভিত্তিতে এই সরকার শপথ গ্রহণ করেছে।

সংবিধান সংশোধন প্রসঙ্গ : বিএনপি মনে করে, সংবিধান সংশোধন করা যেতে পারে তবে মূলনীতি পরিবর্তনের পক্ষে নয় দলটি। ‘মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতা’ নামে আলাদা চ্যাপ্টার সংযুক্ত করার জন্য সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের বিরোধিতা জানিয়েছে বিএনপি। এক্ষেত্রে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা মনে করি, এটা আসলে রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে এ ধরনের অভিমত আসতে পারে। কারণ, জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সোশ্যাল কালচার নামে অর্থনীতির বিষয়টা নিয়ে সুষ্ঠু সরকারব্যবস্থার ওপর ছেড়ে দিতে হবে। নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের বিষয় কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেছে। ন্যাশনাল কনস্টিটিউশনাল কাউন্সিল গঠন করে কিছু অনির্বাচিত ব্যক্তিদের কিছু প্রতিষ্ঠান সদস্য করার কথা বলা হয়েছে। কাউন্সিল গঠন প্রক্রিয়া ও কার্যপরিধি যেভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, তাতে দেখা যাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের আর কোনো গুরুত্ব নেই। আমরা মনে করি, রাষ্ট্র পরিচালিত হবে জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা। তবে এ প্রস্তাব আলাপ-আলোচনা করে পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে।

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের আসন ও মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ভিন্নমত : সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের প্রস্তাব সবাই গ্রহণ করেছে এবং জাতীয় ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। সংস্কার কমিশন দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টে ১০৫ জন প্রতিনিধি রাখার প্রস্তাব করেছে। বিএনপি এটিকে ১০০ জনের মধ্যে রাখার প্রস্তাব দিয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ১০০ আসন করার প্রস্তাব করেছি এবং মনোনয়ন প্রক্রিয়া চলমান পদ্ধতিতে রাখার প্রস্তাব করেছি। এখানেও মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে তাদের সঙ্গে ভিন্নমত রয়েছে। তিনি বলেন, সংবিধানের শতাধিক প্রস্তাবের মধ্যে এখানে স্প্রেডশিটে ৫৭টি এসেছে। সেই জায়গায় বিস্তারিত প্রতিবেদন আমরা যুক্ত করেছি। পুরো পুস্তকটিতে তাদের সুপারিশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে, সেগুলো এক জায়গায় এসে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেব। অন্যান্য কয়েকটি কমিশনের প্রস্তাবের প্রতিবেদন আমরা কয়েক দিন পর দেব বলে সংস্কার কমিশনকে জানিয়েছি।

গণপরিষদ ও গণভোট নির্বাচন নয়, আগে জাতীয় নির্বাচন : গণপরিষদ ও গণভোটের নির্বাচন চায় না বিএনপি। কারণ হিসাবে সংস্কার কমিশনকে লিখিত মতামত দিয়েছে দলটি। এ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গণপরিষদ নিয়ে অনেক বক্তৃতা দিয়েছে। নতুন রাষ্ট্র হয়েছে, সেখানে সংবিধান রচনা করা দরকার, রাষ্ট্রের সংবিধান নেই-সেজন্য সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে প্রতিনিধিত্ব আকারে গণপরিষদ গঠন করা হয়। সেটা নির্বাচনের মাধ্যমে হতে পারে, সিলেকশনের মাধ্যমেও হতে পারে। সেই গণপরিষদ একটা সংবিধান প্রণয়ন করে এবং সেটা গৃহীত হওয়ার পর সংবিধানের ভিত্তিতে সংসদ নির্বাচন হয়। কিন্তু আমাদের রাষ্ট্র তো নতুন হয়নি। এ রাষ্ট্রের ৫৩/৫৪ বছর। আমাদের একটা সংবিধান আছে। সেই সংবিধানের হয়তো গণতান্ত্রিক চরিত্র বিনষ্ট হয়েছে। যার জন্য রাষ্ট্র কাঠামো ও গণতান্ত্রিক কাঠামো নতুনভাবে নির্মাণ করা দরকার। সেজন্য আমরা সংবিধানের ব্যাপক সংশোধনী এনেছি।

তিনি বলেন, যারা গণপরিষদ দাবি করছে, তারাও ৬৯টা প্রস্তাব দিয়েছে সংশোধনের জন্য। আমরা একটু কম দিয়েছি। এগুলো আলোচনা করে আমরা একটা বৃহত্তর ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংবিধানের একটা ব্যাপক সংশোধিত সংবিধান পেতে পারি। সেই সংবিধানকে তারা নতুন সংবিধান বলতে পারে, আমাদের কোনো আপত্তি নেই। এখানে গণপরিষদের কোনো প্রয়োজন নেই। গণভোটের বিধান তো আছে সংবিধানের ১৪২ আর্টিক্যালে। সেখানে বলা আছে, আর্টিক্যাল ৮, ৪৮, ৫৬, ১৪২ ইটসেলফ। এগুলো যখন সংশোধিত হবে, তখন গণভোটের প্রয়োজন হবে। যদি নতুন সংবিধানে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে আরও কোনো প্রভিশন যদি এই গণভোটের অধীনে নিয়ে আসা হয়, সেটা তখন দেখা যাবে। সেক্ষেত্রে গণভোটের কথা আসতে পারে।

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের রিপোর্টে ২৭টি প্রস্তাবের মধ্যে অধিকাংশ সংবিধান সংশোধনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে বিএনপি। দলটি মনে করে, যা নির্বাচনি সংস্কার নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে আমরা সংবিধান সংশোধনের সংস্কার প্রস্তাবে লিখিত আকারে মতামত জমা দিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করার জন্য কিছু সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। যেগুলোকে আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ। এগুলো তাদের এখতিয়ারে থাকা উচিত।

বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রায় সব প্রস্তাবে একমত : বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রায় সব প্রস্তাবে একমত পোষণ করেছে বিএনপি। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা আমাদের ৩১ দফা প্রস্তাবের মধ্যে বিচার বিভাগের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার জন্য অনেক প্রস্তাব ওখানে দিয়েছিলাম। এর মধ্যে অধস্তন আদালতের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের জন্য অধস্তন আদালতের নিয়ন্ত্রণ সুপ্রিমকোর্টের হাতে ন্যস্ত করার জন্য সংবিধানের আর্টিক্যাল ১১৬ আমরা পরিবর্তন বা সংশোধনের সুপারিশ করেছিলাম। বর্তমানে সংবিধানের বিদ্যমান প্রভিশনে বলা আছে যে, প্রেসিডেন্ট করবে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে। এখানে প্রধান বিচারপতিকে প্রধান করে আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে অধস্তন আদালতের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা সুপ্রিমকোর্টের হাতে রাখতে চাই, সেটা আমাদের প্রস্তাব।

সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের আদলে লোয়ার জুডিশিয়াল কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব : নিম্ন আদালতের জন্য আলাদা কাউন্সিলের প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি।

এ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল, সেটা অলরেডি পঞ্চদশ সংশোধনী মামলায় হাইকোর্টের রায়ে বহাল হয়েছে। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের আদলে লোয়ার জুডিশিয়ারির জন্য লোয়ার জুডিশিয়াল কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব করেছি।

দুদক সংস্কারে ২০ প্রস্তাবের মধ্যে ১১টিতে একমত : দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কারে ২০টি প্রস্তাবের মধ্যে ১১টিতে সরাসরি একমত পোষণ করেছে বিএনপি। ৭ বা ৮টি প্রস্তাবে মন্তব্যসহ নীতিগতভাব একমত জানিয়েছে দলটি। শুধু একটি প্রস্তাবে দ্বিমত পোষণ করেছে।

প্রশাসন সংস্কারে ২৬টি প্রস্তাবের মধ্যে অর্ধেক প্রস্তাবে একমত : প্রশাসন সংস্কারে ২৬টি প্রস্তাবের মধ্যে অর্ধেক প্রস্তাবে একমত বিএনপি। বাকি অর্ধেক প্রস্তাবে আমাদের মতামত রয়েছে। তবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটা জায়গায় আসা যাবে। তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কর্মকর্তাদের সচিব পর্যায়ে পদোন্নতিতে বিদ্যমান ‘এসএসবি’ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এর সঙ্গে আমরা একমত নই। আমরা মনে করি, এর মধ্য দিয়ে প্রশাসনে একটা রাজনীতিকরণ হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এর পরিবর্তে মন্ত্রিপরিষদ কমিটি করার প্রস্তাব দিয়েছি।

ঊষার আলো-এসএ