খুলনা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক মো. মনিরুজ্জামান মন্টু বলেছেন, গত ১৭ বছর মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও স্বাধীন বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিহাস বিকৃতি করে জাতির সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের এই পুরো সময়টাতেই পাঠ্যপুস্তুকে ও বিভিন্ন গ্রন্থের ইতিহাসে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে চরম মিথ্যাচার করেই মাফিয়া সরকার ক্ষ্যান্ত হয়নি; তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্লজ্জ ষড়যন্ত্র করেছিল। ভোটাধিকার হরণ করে একেরপর এক সাজানো-পাতানো প্রহসনের নির্বাচন দেখিয়ে ফ্যাসিবাদী কায়দায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় চেপে বসেছিল আওয়ামী লীগ। এখনই সময় তারুণ্যের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার। এখনই মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উপযুক্ত সময়। মহান মুক্তিযুদ্ধে সঠিক ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। জাতিকে জানাতে হবে-একমাত্র বিএনপি’র কাছেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সাবভৌমত্ব ও গণতন্ত্র নিরাপদ।
মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তম এঁর ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালনের লক্ষ্যে যৌথ প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর কে.ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে জেলার আহবায়ক কমিটি, উপজেলা/পৌরসভার সভাপতি/আহবায়ক ও সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিব, অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহনে এ যৌথ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালনের লক্ষ্যে খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাথে সমন্বয় করে বিস্তারিত কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া প্রতিটি উপজেলা/পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডপর্যায়ে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণের প্রস্তাব গৃহীত হয়।
প্রস্তুতি সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম, যুগ্ম-আহবায়ক খান জুলফিকার আলী জুলু, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, মো. তৈয়েবুর রহমান, গাজী তফসির আহমেদ, জিএম কামরুজ্জামান টুকু ও এনামুল হক সজল, জেলা বিএনপি’র সদস্য চৌধুরী কাওসার আলী, শাকিল আহমেদ দিলু, আরিফুর রহমান আরিফ, রবিউল ইসলাম হোসেন, মো. হাফিজুর রহমান, মল্লিক আব্দুস সালাম, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, এমএ হাসান, মনিরুজ্জামান বেল্টু, আশরাফুল ইসলাম নূর ও নাসিমা আক্তার পলি, দিঘলিয়া উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক সাইফুর রহমান মিন্টু, পাইগাছার ডা. আব্দুল মজিদ, আসলাম পারভেজ, ডুমুরিয়ার মশিউর রহমান লিটন, দাকোপের আব্দুল মান্নান খান, আল আমীন সানা, বটিয়াঘাটার শামীম গোলদার, রূপসার মোল্যা সাইফুর রহমান ও জাভেদ হোসেন মল্লিক, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক খান ইসমাঈল হোসেন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব নাদিমুজ্জামান জনি, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক আতাউর রহমান রনু, সদস্য সচিব আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি হেমায়েত হোসেন ও জেলা মহিলাদলের এ্যাড. সেতারা সুলতানা প্রমুখ।
ঊআ-বিএস