তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ব্যয় চলতি বছরে ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে এবং ২০২৮ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ৫.৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশন (আইডিসি)। ব্যবসাগুলো এখন প্রযুক্তিতে কৌশলগত বিনিয়োগের মাধ্যমে ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার বিরুদ্ধে স্থিতিশীলতা গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানগুলো প্রযুক্তিকে কেবল সম্প্রসারণের হাতিয়ার হিসাবে নয়, বরং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নত করার কৌশল হিসাবে ব্যবহার করছে। আইডিসির সহযোগী গবেষণা ব্যবস্থাপক মারিও অ্যালেন ক্লিমেন্ট বলেন, ‘এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ব্যবসাগুলো প্রযুক্তি গ্রহণের নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করছে, যেখানে তারা নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধান ও স্পষ্ট ফলাফল অর্জনের জন্য বিনিয়োগ করছে।’
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও সাইবার নিরাপত্তার ওপর জোর
এই অঞ্চলের আইসিটি খাতের ব্যয়ের ৮০ শতাংশই আসে শীর্ষ ১০টি দ্রুত-বর্ধনশীল শিল্প থেকে। প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল রূপান্তর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) বাস্তবায়ন এবং সাইবার নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে নিজেদের প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ও প্রতিযোগিতামূলক রাখার চেষ্টা করছে। বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা, রাজনৈতিক উত্তেজনা ও সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকলেও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে ব্যবসাগুলো টিকে থাকার কৌশল নিচ্ছে। বিশেষ করে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্ভাবন ও কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করছে, মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলো ডাটা অ্যানালিটিকস, এআই ও মেশিন লার্নিংয়ের দিকে ঝুঁকছে এবং ছোট ব্যবসাগুলো সাশ্রয়ী প্রযুক্তি সমাধানে গুরুত্ব দিচ্ছে।
আইডিসির ওয়ার্ল্ডওয়াইড আইসিটি স্পেন্ডিং গাইড ১০০টির বেশি প্রযুক্তি বিভাগের আইটি ব্যয় পর্যবেক্ষণ করে এবং ৫৩টি দেশে ব্যবসা ও শিল্প খাতে বিনিয়োগের বিস্তারিত বিশ্লেষণ প্রদান করে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে সব ধরনের ব্যবসায়ের আইসিটি খাতে ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রযুক্তির এ কৌশলগত ব্যবহার শুধু ব্যবসায়িক দক্ষতাই বাড়াবে না, বরং গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নত করে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ডিজিটাল অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে।
ঊষার আলো-এসএ