ঊষার আলো ডেস্ক : সারা বিশ্বজুড়ে জলে-স্থলে বিভিন্ন প্রাণীর অস্তিত্ব দেখতে পাওয়া যায়। এগুলোর কিছু কিছু প্রাণীর সাথে আমরা পরিচিত। আবার এমন অদ্ভুত কিছু প্রাণী আছে যেগুলোর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছু জানা নেই।
অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন প্রাণীর বৈশিষ্ট্যও আলাদা হয়। এমনই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের এক প্রাণীর নাম সায়েগা অ্যান্টেলোপ, যাকে ‘সায়েগা সারং’ বলা হয়ে থাকে।
বর্তমানে এই প্রাণীকে কাজাখাস্তানের বনাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এ ছাড়া উত্তর আমেরিকা, রাশিয়া, উজবেকিস্তান ও মঙ্গোলিয়াতেও এর অস্তিত্ব আছে।
কিন্তু অদ্ভুত-চতুর এই প্রাণীটি সাধারণত মানুষের দৃষ্টি এড়িয়ে চলে। যে কারণে মানুষ এদের সচরাচর তেমন দেখতে পায় না। আগে চীন, রোমানিয়া এবং মালডোভাতেও দেখা যেত এই প্রাণী। তবে নির্বিচারে শিকারের কারণে এসব অঞ্চলে প্রাণীটি এখন বিলুপ্ত।
প্রাণীটি দেখতে হরিণের মতোই। কিন্তু অন্য সব প্রাণীর চেয়ে আলাদা এটির নাক। যা আধুনিক বিজ্ঞানের আবিষ্কার এয়ার-কন্ডিশনার বা শীতাতপ যন্ত্রের মতো। গ্রীষ্মকালে প্রাণীটির নাক গরম বাতাস ঠাণ্ডা করে তা ফুসফুসে পৌঁছায়। আবার শীতকালে করে ঠিক তার উল্টোটা।
এ ছাড়া আরও একটি বৈশিষ্ট্য আছে এই প্রাণীর। এরা সাধারণত নানা উদ্ভিদের চারা ও সবুজ ঘাস খেয়ে বেঁচে থাকে। তবে প্রাণীটি এমন কিছু উদ্ভিদের চারা খায় যা অন্য প্রাণীর জন্য বিষাক্ত। এরা স্থলে যেমন দ্রুত দৌড়াতে পারে, ঠিক তেমনি জলেও পারে সাঁতার কাটতে। কিন্তু এরা দৌড়ানোর সময় খাড়া বা উঁচু জায়গা এড়িয়ে চলে।
(ঊষার আলো-এফএসপি)