UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ৯ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঐতিহ্য বজায় রেখে ইতিহাস সংরক্ষণের দাবি : সেমিনারে বক্তারা

koushikkln
জুন ১৭, ২০২৩ ৮:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট: ঐতিহ্যগুলো শুধু কোনো ব্যক্তির নয়, এটি শুধু অতীতের স্মারক নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যত আলোর জ্ঞানের দিশারী। তাই ইতিহাস সংরক্ষণ করতে হলে ঐতিহ্য রেখেই সংরক্ষণ করতে হবে।

আজ শনিবার খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে ওই দাবি করেন বক্তারা। ‘বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি নিদর্শন ও সংরক্ষিত পুরাকীর্তিকে (খুলনা বিভাগ) অন্তর্ভূক্ত করে রবীন্দ্র হেরিটেজ ট্রেইল : সমস্যা, সম্ভাবনা ও পযটন ভাবনা’ শীর্ষক ওই সেমিনারের আয়োজন করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের খুলনা আঞ্চলিক পরিচালকের কাযালয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চন্দন কুমার দে। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাইনুর রহিম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের খুলনা আঞ্চলিক পরিচালক লাভলী ইয়াসমিন। প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন খুলনার সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সাধন রক্ষণ ঘোষ, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মোকাম্মেল হোসেন ভূঁইয়া ও খুলনা সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান।

মূল প্রবন্ধে খুলনা বিভাগের মধ্যে থাকা রবীন্দ্রনাথ ঠাকরের বিভিন্ন স্মৃতি স্থাপনা ও স্মৃতি বিজড়িত স্থানকে কীভাবে সংরক্ষণ করে পযটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা করা হয়। আর আলোচকরা ওই পরিকল্পনার সমস্যা ও সম্ভাবনা এবং গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িত যা, আমাদের অতীতকে মনে করিয়ে দেয়। আমাদের ঐতিহ্যকে তুলে ধরে। উদাহরণ হিসেবে তাঁরা বলেন, রবীন্দ্রনাথ বজরা নৌকায় করে পদ্মা নদীতে ঘুরে বেড়াতেন। তেমন একটি নৌকা পদ্মা নদীতে তৈরি করে পযটকদের ওই সময়ের অনুভূতি দেওয়া যায় কী না সেগুলো পরিকল্পনার মধ্যে আনতে হবে। পালকী চড়ানোর ব্যবস্থা করা যায় কী না তা দেখতে হবে। এতে স্থানীয় মানুষ এটাকে নিজেদের মধ্যে ধারণ করবেন। নেপাল, ভূটানের মতো দেশে পযটন খাত জিডিপিতে বড় ভূমিকা রাখে। আমাদের দেশেও সে ধরণের ব্যবস্থা করতে পারলে পযটক আসবে। তাঁরা বলেন, বর্তমানে আমরা বিস্মৃতির যুগে চলে যাচ্ছি। এখন মানুষ অতীত থেকে শিক্ষা নেয় না, অতীতকে জানতে চায় না। এ কারণে রবীন্দ্র হেরিটেজ এমনভাবে তৈরি করতে হবে যা নতুন প্রজন্মকে জানাতে সাহায্য করবে। নতুন হেরিটেজের মাধ্যমে ওই এলাকার সমাজে প্রভাব পড়ে, মানুষের জীবনাচারণ পরিবর্তন হয়। তাই যে কোনো ইতিহাস সংরক্ষণ করতে হলে অতীতের ইতিহাসকে প্রাধ্যন্য দিয়ে তা সংরক্ষণ করতে হবে।