UsharAlo logo
সোমবার, ১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা সংকটেও স্বাস্থ্য ঝুঁকি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা নেই পরিচ্ছন্ন কর্মীদের

usharalodesk
জুন ১৪, ২০২১ ৯:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : নগরীর দৌলতপুরস্থ বিভিন্ন এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিষ্কাসনের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান, আউট-সোর্সিংয়ের যে সকল পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কাজ করছেন তারা বর্তমানে করোনা মহামারীর এ সংকটময় মূহুর্তে নিজ কাজে দারুন স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে কাজ করছে, কারণ বর্জ্য নিষ্কাষনের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী তথা গাম্বুুট, জুতা, গ্লোভস্, হ্যালমেট, স্টাটিং জ্যাকেট, হ্যান্ডস্যানিটারজার নিয়ে যে কাজে অংশ গ্রহন করার কথা তার কোন কিছুই ব্যবহার করেনা এসকল পরিচ্ছন্ন কর্মীরা, কখনো কখনো অপ্রাপ্ত শিশুদের দিয়েও এ বর্জ্য অপসারণ করা হয়, যাদের নূনতম সুরক্ষা নেই। যে কারণে তার এই করোনা আতংকের মধ্যেও চরম স্বাস্থ্যঝুঁকি মধ্যে কাজ করে চলেছে।
কেসিসি সূত্র জানিয়েছি, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সুরক্ষা সামগ্রী দিয়ে কাজ করানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দৌলতপুরে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে সচেনতা না থাকার দরুন ক্রমশ নোংরা হয়ে উঠছে দৌলতপুরের এই ছোট্ট উপশহরটি। বাড়ি থেকে বের হলেই দেখা যায় রাস্তার উপর পড়ে আছে ময়লা আবর্জনার বিশাল স্তুপ ছাড়াও গৃহস্থালির উচ্ছিস্ট আবর্জনা, মানুষের ব্যবহৃত পুরাতন মাস্ক, মেডিসিন স্যার্জিক্যাল সামগ্রীসহ হরেক রকম বর্জ্য পদার্থ প্রতীয়মান। তাছাড়া বিভিন্ন এলাকার বাসা বাড়ী হতে গাড়িতে করে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা বর্জ্য এনে নির্দিষ্ট কন্টেইনারে ফেলে। যদিও কেসিসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের নিবিড় তত্ত্ববধায়নে থানাধীন প্রতিটি ওয়ার্ডে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পরিচ্ছন্ন কর্মী, আউটসোর্সিং পরিচ্ছন্ন কর্মী নিরালসভাবে কাজ করে প্রতি ওয়ার্ডের বর্জ্য নিষ্কাষন মুক্ত করার জন্য সর্বাত্বক কাজ করছে। কিন্তু এ সকল পরিচ্ছন্ন কর্মীরা বাসা বাড়ীসহ বিভিন্ন মোড় হতে যে ময়লা নিষ্কাসনের কাজ করে বর্তমানে করোনা ঝুঁকির মধ্যে সুরক্ষা সামগ্রী না থাকায় চরম স্বাস্থ্যঝুকির হয়েছে। দৌলতপুর থানাধীন কেসিসি’র ওয়ার্ড অফিস সূত্র জানায়, ওয়ার্ডের বর্জ্য সমূহ নির্ধারিত স্থানে ফেলার জন্য কেসিসি কর্তৃক দেয়া হয়েছে। হতাছাড়া ৪নং ওয়ার্ডে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ৪জন, আউটসোর্সিং কর্মী ৪জন ও এনজিও’র ৩জন কর্মী, ৫নং ওয়ার্ডে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ৮জন, আউটসোর্সিং কর্মী ৩জন কর্মী, ৩নং ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা এলাকার বিভিন্ন বাসা বাড়ী হতে নোংরা ময়লা আর্বজনা তুলে নিয়ে যায়।
ঠিকাদার মো: কবিরের কয়েকবার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওনা যায়নি।
এ ব্যাপারে কেসিসি’র বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রধান আঃ আজিজ জানান, পরিচ্ছন্ন কর্মীদের ট্রেনিং পূর্বক তাদের প্রশিক্ষণের সন্মানীসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী হিসাবে গাম্বুুট, জুতা, গ্লোভস্, হ্যালমেট, স্টাটিং জ্যাকেট, হ্যান্ডস্যানিটারজার প্রদান করা হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান , ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তার কর্মীদের সুরক্ষা সামগ্রী ব্যয় ভার বহন করবে। তিনি আরো জানান, কেসিসি’র দৌলতপুর থানাধীন প্রতিটি ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট আর্বজনামুক্ত রাখতে কন্টেইনার ড্রামসহ বিপুল পরিমানে বিন প্রদান করেছে।
(ঊষার আলো-এমএনএস)