UsharAlo logo
শুক্রবার, ১৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কলম বিরতিতে খুলনা কর অঞ্চলের ২৭টি অফিসে অচলাবস্থা

ঊষার আলো প্রতিবেদক
মে ১৫, ২০২৫ ৮:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

এনবিআর বিলুপ্ত করার প্রতিবাদে কলম বিরতি পালন করছেন খুলনা কর অঞ্চলের আওতাধীন বিভাগের ২৭টি আয়কর অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর ফলে অফিসগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২/৩শ’ লোক এই অফিসগুলো থেকে সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত কলম বিরতি পালন করেন খুলনা অঞ্চলের কর কমিশনার, ৪ টি রেঞ্জ ও ২২টি সার্কেল অফিসের ১৬২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। বুধবারও কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করেছিলেন তারা। এছাড়া আগামী ১৭ মে শনিবারও একই কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তারা।
কলম বিরতি চলাকালে দুপুরে খুলনা কর কমিশনার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের সঙ্গে সংহতি জানান খুলনার আয়কর আইনজীবীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা কর কমিশনার কার্যালয়ের অতিরিক্ত কর কমিশনার আরিফুল হক, যুগ্ম কর কমিশনার মো. রাউফুর রহমান, উপ-কর কমিশনার মো. মাহবুবুর রহমান, উপ-কর কমিশনার মোসা. জেসমিন আক্তার, উপ-কর কমিশনার দেলোয়ারা জাহান, উপ-কর কমিশনার নুসরাত ফারজানাসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আয়কর কর্মকর্তারা বলেন, এনবিআর বিলুপ্ত করে প্রণীত রাজস্ব অধ্যাদেশ বাতিল এবং টেকসই রাজস্ব সংস্কারের দাবিতে তারা এই কলম বিরতি পালন করছেন। দেশের স্বার্থে রাজস্ব ব্যবস্থার একটি যুগোপযোগী ও টেকসই সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু সংস্কারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন হওয়া সত্তে¡ও কাস্টমস ও ট্যাক্স সার্ভিসের হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর মতামত গ্রহণ করা হয়নি। সরকার কর্তৃক গঠিত সংস্কার কমিটির সুপারিশ প্রকাশ না করে এবং তা আলোচনা-পর্যালোচনার সুযোগ না রেখে জারিকৃত অধ্যাদেশের মাধ্যমে যে সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে তা দেশের রাজস্ব ব্যবস্থায় বিপর্যয় সৃষ্টি করবে।
খুলনা কর আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ রোকনুজ্জামান বলেন, আমরা রাজস্ব খাত সংস্কারের পক্ষে তবে, সেই সংস্কার হতে হবে সকলের মতামতের ভিত্তিতে। রাজস্ব আহরনের ক্ষেত্রে আমরা সবসময়ই সরকারকে সহযোগীতা করে আসছি। কিন্তু এই সংস্কারের ক্ষেত্রে আমাদের কোন মতামত জানতে চাওয়া হয়নি। এমনকি আমাদের মত অনেক অংশীজন মতামত প্রদানের সুযোগ পায়নি। এটাতো হতে পারে না।
রাজস্ব কর্মকর্তাদের সাথে সহমত পোষন করে এই আইনজীবী আরও বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিল করে সকলের মতমত নিয়েই এই সংস্কার করা উচিত বলে আমরা মনে করি।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর বয়রা এলাকার কর কমিশনার অফিসে গিয়ে দেখা যায়, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো কাগজপত্রে স্বাক্ষর করছেন না। আয়কর সংক্রান্ত কাজ করতে না পেরে ফিরে যাচ্ছিলেন ইসমাইল হোসেন ও সাখাওয়াত মোড়ল নামের দুই ব্যক্তি। তারা বলেন, ‘এখানে যে কলম বিরতি চলছে তা তাদের জানা ছিল না। আন্দোলন কর্মসূচি শেষ হলে আবার আসতে হবে।’

ঊআ-বিএস