UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলাপাড়া এমবি কলেজ: নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বিড়াম্বনা

koushikkln
নভেম্বর ৬, ২০২২ ১০:১৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সৈয়দ রাসেল, কলাপাড়া: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন না পাওয়ায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন কলাপাড়া সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস অনার্স কলেজ’র নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারিরা। পরিশ্রমের মধ্যদিয়ে সঠিক দায়িত্ব পালন করলেও এসব ভুক্তভোগীদের মাস শেষে বেতন প্রদানে নিয়ম মানা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত অনার্স কলেজ গুলোয় কর্মরত ননএমপিও শিক্ষক ও কর্মচারিদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক কলেজের তহবিলে অর্থ থাকা সাপেক্ষে মূল স্কেলের শতভাগ বেতন ভাতা প্রদানের বিষয় উল্লেখ রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কলেজ এর নন-এমপিও শিক্ষকরা চলতি বছরের ২৯ আগষ্ট ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বরাবর বেতন ভাতাদি পাওয়ার আবেদন করলেও কোন কর্নপাত করছেনা কর্তৃপক্ষ।উপরন্তু নন-এমপিও শিক্ষকদের বেতন দেয়ার কথা বলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম ফিলাপসহ বিনা রশিদে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছে। কিন্তু তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না। এতে নন-এমপিও শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তারা বলছেন, বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যে বেতন আদায় করা হয় তা সঠিক বণ্টন হচ্ছে না। এতে নন-এমপিও শিক্ষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

এবিষয়ে ননএমপিও একাধিক শিক্ষকদের অভিযোগ, কলেজ জিও হওয়ার পর থেকে প্রায় ৪১ মাস বেতন দেওয়া হচ্ছেনা। কিন্তু কলেজ অনার্স খাত থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় হলেও আমাদের বেতন ভাতা দিতে উদাসীনতার ভূমিকায় কতৃপক্ষ। করোনাকালীন মহামারী সময় থেকে বর্তমানে দ্রব্য মূল্য উর্ধ্বগতি পরিস্থিতে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে অসহায় মানবেতর জীবন যাপন করছি।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ’র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুস সালাম হাওলাদার বলেন, নন-এমপিও শিক্ষক ও কর্মচারি বেতন ভাতা পাবার ব্যাপারে ডিজি মহাদয় ও কলেজ সভাপতির কাছে বিয়য়টি জানাতে পারে। আমি পাঁচ মাসের বেতন দিয়েছি, এখন আমার মেয়াদ শেষ, বেতন দেয়ার ব্যাপারে বিধিমালায় নাই। এছাড়া আমি কলেজের অনার্স শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন ও ফরম ফিলাপ বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করিনি। অনার্স এর ভর্তি ও ফরম ফিলাপ এর টাকা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকরা আদায় করে থাকে। ভর্তি শেষে যে অর্থ আদায় করা হয় তার হিসাব নিয়ম অনুযায়ি অধ্যক্ষের কাছে দিতে হয়। আমি হিসাবের জন্য তাদের মৌখিক ও লিখিত চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও তারা আমার কাছে হিসাব দেয়নি। বিষয়টি ইউএনও মহোদয় অবগত আছেন।

এ ব্যাপারে কলেজ সভাপতি ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, আমি নন-এমপিও শিক্ষক ও কর্মচারিদের বেতন ভাতা পাবার ব্যাপারে যাচাই বাচাই করে দেখব।