UsharAlo logo
শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাঁচামরিচ নিয়েও কারসাজি

usharalodesk
জুলাই ৫, ২০২৩ ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : গত কয়েকদিনে কাঁচামরিচের দামে নাজেহাল হয়েছেন ভোক্তারা। এ নিত্যপণ্যটির দাম যে এতটা বাড়তে পারে তা ছিল অকল্পনীয়। দেশের কোনো কোনো স্থানে কাঁচামরিচ কেজিপ্রতি এক হাজার টাকায়ও বিক্রি হয়েছে। ভারত থেকে আমদানির পর এর দাম কমতে শুরু করেছে। জানা গেছে, দাম কমার পর বাজার তদারকিতে নেমেছে সরকারের একাধিক সংস্থা। ভোক্তাদের প্রশ্ন, কারসাজি করে যখন কাঁচামরিচের দাম বাড়ানো হয়েছিল, তখন বাজার তদারকি সংস্থাগুলো নীরব ছিল কেন? আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরও কারা কী প্রক্রিয়ায় কাঁচামরিচের বাজার অস্থির করে তুলেছে তা খতিয়ে দেখা জরুরি।

কারসাজি করে যারা কাঁচামরিচের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়েছে, তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা না হলে তারা অন্য পণ্যের ক্ষেত্রেও একই চেষ্টা চালাতে পারে। মাত্র কিছুদিন আগেই কারসাজি করে বাড়ানো হয়েছে বিভিন্ন মসলার দাম। আদা, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন মসলা এখন সীমিত আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে। যে আদার কেজিপ্রতি আমদানি মূল্য ১২৯-১৩০ টাকা, তা বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। কারসাজি করে যারা এ মসলার দাম বাড়িয়েছে, তাদের কেন চিহ্নিত করা হচ্ছে না? চিনির সংকটেও ভোক্তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বস্তুত বহুদিন ধরেই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিভিন্ন অজুহাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির করে তুললেও বাজার তদারকি সংস্থাগুলোর তৎপরতা দৃশ্যমান নয়। মূলত এ সংস্থাগুলোর দুর্বলতার কারণেই অসাধু ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া মুনাফা করার সুযোগ পায়। অভিযোগ রয়েছে, বাজার পর্যবেক্ষণে জড়িত অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের যোগসাজশের কারণেই অসাধু ব্যবসায়ীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। কাজেই সরষের ভেতরের ভূত তাড়াতে হবে।