কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : পিরোজপুরের কাউখালীতে বেকুটিয়া এলাকার কচা নদীতে ইলিশ মাছ ধরার জাল পাতাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের জেলেদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নিলতী গ্রামের ৩ জেলে গুরুতর আহত হয়।
আহতরা হলেন, উপজেলার নিলতী গ্রামের আলতাফ খানের ছেলে জসিম খান (৩৫), সালাম খানের ছেলে বাদশা খান (৩০) ও নাছির হাওলাদারের ছেলে খাইরুল (২৫)। এদের মধ্যে জসিম খানের মাথায় গুরুতর ক্ষত হওয়ায় তার অবস্থা আশংকাজনক।
সরেজমিন ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে কচা নদীতে ইলিশ মাছের জাল আগে পরে ফেলা নিয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার আজিজুল হক জানান, স্থানীয় মৎস্য জীবীদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দীর্ঘদিন যাবৎ নদীর পশ্চিম পাড়ের কুমির মারা এলাকার জেলেরা আগে জাল ফেলবে। এরপরে নিলতী ও বিজয়নগর এলাকার জেলেরা এরপর বেকুটিয়া এলাকার জেলেরা নদীতে জাল ফেলবে। এই নিয়মে দীর্ঘদিন কচা নদীতে মাছ ধরা হয়। গতকাল হঠাৎ করে নদীর পশ্চিম পাড়ের এবং বিজয়নগর ও নিলতী এলাকার জেলেদের জাল ফেলানোর শেষ মুহূর্তে জসিম খান গ্রুপের ৪টি নৌকার জাল ফেলতে গেলে বেকুটিয়া গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে ইউনুস ও কুদ্দুস এর নেতৃত্বে অন্যান্য কয়েকজন জেলেরা জাল ফেলতে বাধা প্রদান করে। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে প্রথেমে বাক বিতন্ডা শুরু হলে এক পর্যায়ে কুদ্দুস গ্রুপের লোকজন লাঠি সোটা এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নিলতী গ্রামের জসিম খানসহ অন্যান্যদের উপর হামলা করে। স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উপভয়পক্ষকে শান্ত করে এবং গুরুতর আহত ৩ জনকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে রাতেই ভর্তি করে। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ব্যাপারে জসিম খানের পিতা আলতাপ হোসেন বাদী হায়ে কাউখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্থানীয় বেকুটিয়া গ্রামের মেম্বার আব্দুল আলীম জানান, তিনি ঘটনার সময় খুলনা ছিলেন। তবে আসামী পক্ষের লোকজন উচ্ছৃক্সখল বলেও তিনি জানান।
কাউখালী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মশিউর রহমান জানান, ঘটনার সরেজমিন তদন্ত করেছেন, ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বনি আমিন জানান, অভিযোগ পেয়ে প্রাথমিক তদন্ত হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।