সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি অবিলম্বে প্রত্যাহার ও স্বতন্ত্র বেতনস্কেলের দাবিতে কালো ব্যাজ ধারণ ও মৌন মিছিল করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষকরা। এই কর্মসূচির আয়োজন করে কুয়েট শিক্ষক সমিতি।
রবিবার (১৯ মে) সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় কুয়েট শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে কালো ব্যাজ ধারণ করে মৌন মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে দুর্বার বাংলার পাদদেশে এসে শেষ হয়। এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শিক্ষকরা বলেন-
গত ১৩ মার্চ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেখানে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে বিশ^বিদ্যালয়সমূহে যারা নূতন যোগদান করবেন, তাদের বিদ্যমান ব্যবস্থার মতো অবসরোত্তর পেনশন-সুবিধা না দিয়ে বাধ্যতামূলক সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত করা হবে। বক্তারা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও গবেষণার মূল চালিকা শক্তি।
সেই সঙ্গে জাতি গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ত্যাগ ও কঠোর পরিশ্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একই বেতন স্কেলে কর্মরত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ভিন্ন নীতি অবলম্বন সংবিধানের মূল চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের টেকসই ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে এই বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন গভীর অন্তরায় হবে বলে বক্তারা মতামত দেন। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আলমগীর হোসেন বলেন, সর্বজনীন পেনশন চালুর মধ্য দিয়ে শিক্ষক সমাজে বৈষম্য সৃষ্টির যে অপচেষ্টা করা হচ্ছে তা কুয়েটের সকল শিক্ষক প্রত্যাখান করেছে।
কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল হাসিব তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষকদের প্রতি এমন বৈষম্যমূলক আচরণ বর্তমানে কর্মরত শিক্ষকদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করবে এবং ভবিষ্যতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় যোগদানে নিরুৎসাহিত হবে। এ সময় তিনি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য অবিলম্বে স্বতন্ত্র বেতনস্কেল গঠনেরও আহŸান জানান।
এছাড়া দেশের অন্যান্য প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়সমূহ (বুয়েট, চুয়েট, ডুয়েট ও রুয়েট) একই দিনে কর্মসূচি পালন করেছে।