খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) কোনো শিক্ষার্থীর ক্ষতি হলে সরকারের পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম।
বুধবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
পাঠকদের জন্য শিবির সেক্রেটারির পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
‘কুয়েটে অনশনে বসা ৩২ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৭ জনই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলেই যে ভিসি তার চেয়ার পেয়েছেন, সেই চেয়ার নির্লজ্জের মতো আঁকড়ে ধরে শিক্ষাঙ্গনে এমন অস্থির পরিবেশ তৈরি করে রাখাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। অচলাবস্থা নিরসনে ভিসির পদত্যাগ জরুরি। কুয়েটে কোনো শিক্ষার্থীর ক্ষতি হলে সরকারের পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে। শিক্ষা উপদেষ্টাকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ খুলনা কুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি একাত্মতা পোষণ করে মঙ্গলবার বিকালে ফেসবুকে পোস্ট দেন।
পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রহসনমূলক আচরণ করার পরিণতি কি হতে পারে, তা চব্বিশের জুলাইয়ে দেখেছে বাংলাদেশ। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়েও আমরা এমন ফ্যাসিবাদী আচরণ দেখতে চাই না।’
হাসনাত আরও লিখেছেন, ‘কুয়েটের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির প্রতি একাত্মতা পোষণ করছি। কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি লেখেন, দ্রুত শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।’
এদিকে কুয়েট ভিসি পদত্যাগ না করলে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুঁসে উঠবে শিক্ষার্থীরা বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার (জাবি) শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল।
প্রসঙ্গত, সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকাল ৪টা থেকে কুয়েট ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ৩২ শিক্ষার্থী। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
ঊষার আলো-এসএ