খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মিরাজুল ইসলাম খুলনার ভবন মালিকদের কেডিএ’র নকশা অনুযায়ী ভবন করার জন্য রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় আইন দ্বারা বুঝিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় কেডিএ’র অডিটরিয়াম ভবনে অনুমোদিত নকশা গ্রহনকারী এবং নকশা প্রণয়নকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে মত বিনিময় সভায় চেয়ারম্যান সভাপতির বক্তব্যে ভবন মালিকদের সঠিক নিয়ম মেনে ভবন করার ব্যাপারে তাগিদ দেন। সভায় ৬৪ জন ভবন মালিকের অনুমোদিত নকশা তাদের হাতে তুলে দেন চেয়ারম্যান নিজে। এ সময় খুমেক হাসপাতালের সামনে জনৈক মমতাজ বেগমের একতলা ভবনের নকশা নেয়ার পর দ্বিতীয়তলা ভবনের নকশা অনুমোদন করার জন্য ভোগান্তির অভিযোগ করেন তারই পক্ষে ইশারাত আলী। এ অভিযোগ করা হয় ইমারত পরিদর্শক মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ সময় চেয়ারম্যান কেডিএ’র সচিব ও প্রধান প্রকৌশলীকে অভিযোগটি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন।
সভায় চেয়ারম্যান বলেন, বাসযোগ্য নগরায়ন করতে নকশা বর্হিভূত কোন ভবনের অনুমোদন কেডিএ দিবে না। এক পর্যায়ে ওই ভবন কেডিএ অপসারণ করবেই। এতে কোন ছাড় দেয়ার সুযোগ আইনে নেই। জমি ক্রয়ের সময় অনলাইনে ভূমি ম্যাপ চার্জ দিয়ে জমি জলাধারা না কি বিলেন দেখেন। বিষয়টি পরিস্কার করে জেনে বুঝে জমি ক্রয় করুন। জলধারা ক্রয়ের পর ওই জমিতে কেডিএ কোন ভাবে নকশা দিবে না। এ জন্য কেডিএ-কে দায়ী করলে হবে না।
আপনাকে জমি ক্রয়ের আগে অনলাইনে চার্জ দিয়ে জমির অবস্থান বুঝে নেন। নকশার জন্য পরিপূর্ণ আবেদন অনুমোদন করতে কেডিএ’র ১৫-৩০ দিন লাগে। তার বেশী লাগবে না। এ সময়ের বেশী সময় কেউ নিলে সরাসরি চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ হওয়ার জন্য তিনি বলেন।