ঊষার আলো প্রতিবেদক : আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় বাড়ির সামনে কিংবা রাস্তার ওপরসহ যেখানে সেখানে পশু কোরবানি বন্ধে এবারও উদ্যোগ নিয়েছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি)। পশু কোরবানির জন্য নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ১৪২টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে কেসিসি।
পরিবেশ দূষণ রোধে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিটি মেয়র তালুকদার আঃ খালেক জোড়াগেট পশুরহাট উদ্বোধনের দিন বক্তৃতায় বলেন, পরিবেশ ভাল রাখতে কোরবানির পশুকে নির্ধারিত স্থানে জবাই করা উচিত। নির্ধারিত স্থান থেকে জবাই করা বর্জ্য কেসিসির পরিচ্ছন্ন কর্মীরা নিয়ে আসবে। এতে পরিবেশ ভাল থাকবে।
পরিবেশ দুষণমুক্ত রাখাতে এ উদ্যোগ
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, প্রতি বছর এবারও ঈদুল আজহার দিন নগরীতে বাড়ির সামনে এবং রাস্তার ওপর গরু-ছাগল কোরবানি দেওয়া হয়। এর ফলে পরিবেশ দূষিত হয়। এছাড়া পশু জবাই দেখে অনেক শিশু ভয় পায়। এ অবস্থা নিরসনে সরকারেরর নির্দেশে তৎপর হয়েছে কেসিসি।
কেসিসির সিনিয়র ভেটেরিনারি অফিসার ডা. মো. রেজাউল করিম জানান, গত বছর নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি হয়েছিল ২০ শতাংশের বেশী। নগরীতে পশু জবাই হয় আনুমানিক ১০ হাজার থেকে সাড়ে ১০ হাজার। ওই বছর নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই হয়েছে ২১৫০টি। কোরবানিদাতাদের বাড়িতে পর্যাপ্ত জায়গা থাকলে তারা এসব স্থানে পশু নিয়ে আসে না। তাই কিছু স্থান ফাঁকা পড়ে থাকে। তিনি জানান, নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির আহ্বান জানিয়ে নগরীতে লিফলেট বিলি ও মাইকিং করা হচ্ছে। পশু জবাই ও মাংস কাটার জন্য নিজস্ব উদ্যোগে জবাইকারী ও কসাই আনতে হবে। বিগত বছর কেসিসি এসব সুবিধা দিয়ে আসলেও এবার দিচ্ছে না। ছাড়া মাংস ধোয়ার জন্য থাকবে পানি থাকবে। কেসিসি কর্তৃপক্ষের ধারণা, নগরীতে এ বছর পশু কোরবানি হবে প্রায় ১২ হাজার। এবার ১৮ বছরের নীচে বয়সী মাদ্রাসার ছাত্রদের দিয়ে পশু জবাই করানো থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি কোরবানীদাতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি জানান, কারও বাড়ির আঙিনায় বা গাড়ির গ্যারেজে পশু কোরবানির মতো জায়গা থাকলে তারা সেখানে করতে পারেন। তবে তারা যেন ময়লা রাস্তায় কিংবা ড্রেনে না ফেলেন। তাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকায় ময়লা ফেলার নির্ধারিত স্থানে পশুর বর্জ্য ফেলার জন্য আহ্বান জানান ভেটেরিনারি সার্জন ড. পেরু গোপাল বিশ্বাস।
কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আব্দল আজিজ জানান, প্রতি বছর কোরবানির পর কিছু মানুষ রাস্তার ওপর কিংবা ড্রেনে জবাই করা পশুর উচ্ছিষ্টাংশ ফেলে। এতে দুর্গন্ধ ছড়ায় এবং ড্রেনের পানি চলাচল বিঘিœত হয়। পরিবেশ দুষণ হয়। ঈদের নির্মল আনন্দ বিঘœ হয়। বর্জ্য অপসারণে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বেগ পেতে হয়। নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি হলে দ্রুত ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদী।
২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সামসুজ্জামান মিয়া স্বপন বলেন, বিগত বছরের ন্যায় এবারও তার ওয়ার্ডে পশু জবাই করার জন্য নির্ধারিত স্থান সনাক্ত করা হয়েছে। যা প্রস্তুতির কাজ চলছে। ঈদের দিন কোরবাণী দাতারা তাদের পশু নির্ধারিত স্থানে জবাই করবেন বলে তিনি আহবান জানান।