UsharAlo logo
সোমবার, ৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুবিতে সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে ৪ দফা সুপারিশ

ঊষার আলো
জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ ৮:৩৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খবর বিজ্ঞপ্তি : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন সমাজবিজ্ঞানী ও গবেষকদের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ইস্যুর সমাধানে সমন্বিত গবেষণার মাধ্যমে দিকনির্দেশনা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি ২৮ জানুয়ারি (শনিবার) বিকাল ৩টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান স্কুল আয়োজিত দু’দিনব্যাপী প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন (আইসিএসএসআই) এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, আমরা জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে যতই এগিয়ে যাই না কেনো, তার মূল অভীষ্ট হচ্ছে সমাজ। সমাজেই আমাদের ফিরে আসতে হবে। সমাজ উন্নয়নে প্রযুক্তির হস্তান্তর এবং সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়াকে নির্ভরযোগ্য করে সামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে। সমাজ, প্রযুক্তি, শিক্ষা যুগের যে পরিবর্তন তার সাথে নিজেদের খাপ খাওয়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যেহেতু গ্লোবাল লিডারশিপের কথা বলছি, এক্ষেত্রে গবেষণার বিষয়বস্তু শুধু আঞ্চলিক নয় বরং দেশ ছাপিয়ে বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে হবে। আন্তর্জাতিক রিসার্চ সংস্থার সাথে কোলাবরেশনসহ মাল্টি ডিসিপ্লিনারি কোলাবরেশন বাড়াতে হবে।

উপাচার্য সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের অধীনে রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানান এবং এতে সহযোগিতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এগিয়ে আসবে বলে উল্লেখ করেন। তিনি এবারই প্রথম এই স্কুল থেকে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করায় আয়োজকদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। একই সাথে প্রতিবছর অন্তত একটি আন্তর্জাতিক কিংবা জাতীয় সম্মেলন আয়োজনের তাগিদ দেন।

সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. নাসিফ আহসান। এছাড়াও সম্মেলনের ফাইন্ডিংস ও রিকমনডেশনগুলো তুলে ধরেন আয়োজক কমিটির সদস্য-সচিব প্রফেসর ড. তানভীর আহমেদ সোহেল।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. সেলিনা আহমেদ, অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. খান মেহেদী হাসান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. আব্দূল্লাহ আবুসাঈদ খান এবং ডিভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিনের প্রধান (চলতি দায়িত্ব) আসমা উল হুসনা।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক সারা মনামী হোসেন, সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক আফসানা পলি ও অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের প্রভাষক ফাহমিদা আক্তার অনি।

অনুষ্ঠানে সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের ডিসিপ্লিনসমূহের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অংশগ্রহণকারীবৃন্দ সশরীর এবং ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।

এই সম্মেলন থেকে ৪ দফা সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশগুলো হলো- (১) জলবায়ু পরিবর্তন, সাইবার অপরাধ, লিঙ্গ সমস্যা, গণমাধ্যমের ব্যবহার এবং এক্সপোজারের মতো বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সমসাময়িক সমস্যা এবং প্রশমন প্রক্রিয়া বোঝার জন্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা সহযোগিতা। (২) সামাজিক সমস্যা বিশ্লেষণ এবং সমস্যাগুলি বোঝার জন্য মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি গবেষণা পদ্ধতির জোরদারকরণ (৩) সোশ্যাল সায়েন্স নেটওয়ার্কিং এবং নলেজ শেয়ারিং ইভেন্টগুলি, যেমন বিস্তৃত পরিসরে সম্মেলন, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম এবং গবেষণা প্রকাশনায় উৎসাহিত করা।

অতএব, জ্ঞান বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রদায় এবং সমাজের জন্য আরও সহজলভ্য এবং কার্যকর করা। (৪) সমসাময়িক সামাজিক সমস্যা এবং উদ্ভুত সমস্যাগুলির সাথে লড়াই করার জন্য এই জাতীয় সময়োপযোগী গবেষণা প্রকল্পগুলি পরিচালনা করার জন্য সরকারি ও বেসরকারি সহায়তা ব্যবস্থা এবং বিনিয়োগ করা।

সম্মেলনে ৯টি সুনির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক ক্যাটাগরিতে ১৬০টি সাবমিটেড পেপারের মধ্যে ৫৮টি গৃহীত হয়। যার মধ্যে ৮ জনকে বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তরা হলেন – নিশাদ নাসরিন, মো. তানভীর হোসেন, মো. উজ্জ্বল তালুকদার, কানিজ রাবেয়া, কানিজ ফাতেমা মোহসিন, ড. সাজ্জাদুল এম বারী, তাসনিয়া তাহসিন সুহা এবং মোহাম্মদ রাকিবুল হাসান সিদ্দিকী। এই সম্মেলনে বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ও আরব আমিরাত থেকে অংশগ্রহণকারীরা সশরীরে ও ভার্চুয়ালি যোগ দেন।