খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অর্ণব কুমার সরকার হত্যা মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের রিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে খুলনা সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় এ ঘটনায় নিহতের বাবা নিতিশ কুমার সরকার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) শফিকুল ইসলাম আজ রোববার ( ২৬ জানুয়ারি) দুপুরে বলেন, নিহত অর্ণব এর বাবা নিতিশ কুমার সরকার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি বলেন, এ হত্যাকা-ে ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে রাব্বানী নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত রব্বানী নগরীর গোবরচাকা শাহবাড়ি মোড় এলাকার বাসিন্দা মো: রবিউল ইসলামের পুত্র। এদিকে রব্বানীর স্ত্রী রেশমা আক্তার বলেন, আমার স্বামী ও অর্নব নর্থ ওয়েস্টার্ণ ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করতো। এই ভার্সিটি থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার পর একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকুরি নেয়। প্রতি শুক্রবার তারা বিকেলে বন্ধুরা মিলে ওই ভার্সিটির সামনে আড্ডা দিতো। সেই সুবাধে শুক্রবারও অর্ণবকে ফোন দিছিলো আড্ডা দেয়ার জন্য। এ সময় ফাহিম ও আর এক ছোট ভাই খালিদ মিলে তেতুলতলা মোড়ে যায়। রব্বানীও ছিলো। রেশমা বলেন, হত্যাকা-ে মুল আসামিকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হওয়ায় আমার স্বামীকে আটক করেছেন পুলিশ। তিনি বলেন, যেদিন অর্ণবকে সন্ত্রাসীরা গুলিকে করে সেদিন ওখানে যারা উপস্থিত ছিলো সবাই দিক-বেদিক ছুটাছুটি করছিল। আমার স্বামীও গুলির শব্দ শুনে ওখান থেকে সরে যায়। পরে আমার স্বামী এসে দেখে অর্নব মটরসাইকেল নিচে পড়ে আছে। তাকে উদ্ধার করে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমার স্বামীই যদি এই হত্যাকা-ের সাথে জড়িত থাকতো তাহলে সে তাকে তুলে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতো না।
তিনি বলেন, শনিবার ভোর রাতে গোবরচাকা এলাকায় বাসা থেকে আমার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। পরে জানলাম আমার স্বামীকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে। আর ফাহিম ও খালিদকে ছেড়ে দেয়। পুলিশ আমাকে বলে, অর্নবের মোবাইলে শেষ কল ছিলো আপনার স্বামীর। তাই তাকে আটক করা হয়েছে। গত ৭ মাস হতে যাচ্ছে রব্বানীর সাথে আমার বিয়ে হয়। একটি গোয়েন্দার সূত্র মতে, অর্ণবের শরীরের ৫ জায়গায় গুলি লাগে। এর মধ্যে ডান গালে, বাম ঘারে, কানের ওপর, বান পায়ের গোড়ালীতে, বাম পায়ে রানে গুলির চিহৃ পাওয়া যায়। এছাড়া পিঠের উপরে নিচে, ডান হাতের কেনুর ওপর এবং ডান হাটুতে দেশীয় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে খুলনা মহানগরীর শেখপাড়া তেতুলতলা মোড় এলাকায় একটি মোটরসাইকেল হেলান দিয়ে চা পান করছিলেন। এ সময় ১০-১৫টি মটরসাইকেলে সশস্ত্র লোকজন এসে অর্নবকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থাণীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঊষার আলো-এসএ