ইউজিসির আয়োজনে গবেষণা কার্যক্রমের অগ্রগতি নিরীক্ষণ বিষয়ক কর্মশালা
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এর অর্থানুকূল্যে পরিচালিত চলমান গবেষণা কার্যক্রমের অগ্রগতি নিরীক্ষণ সংক্রান্ত কর্মশালা আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মাছুমা হাবিব।
তিনি বলেন, এতদিন ইউজিসির অর্থায়নকৃত গবেষণা প্রকল্পের কোনো মনিটরিং ব্যবস্থা ছিল না। আজ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কর্মশালার মধ্য দিয়ে গবেষণা প্রকল্পের মনিটরিং কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো। এটি একটি অনন্য ও যুগান্তকারী উদ্যোগ। আগামীতে এই মনিটরিং সিস্টেমকে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করা হবে। যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মনিটরিং করা সম্ভব হয়।
তিনি আরও বলেন, গবেষণামনষ্ক জাতি গঠনে শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগত পরিবর্তন দরকার। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারী- সকলেই শিক্ষক। তারা শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে গবেষণায় অধিক গুরুত্ব ও অর্থ বরাদ্দ দেবেন বলে আশা করি। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ এবং রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ চালুর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান এবং এক্ষেত্রে ইউজিসির পূর্ণকমিশন বৈঠক থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় উৎকর্ষ অর্জনে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। যার ফলে শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও গবেষণায় মনোনিবেশ করছেন। তবে বড় ধরনের ইমপ্যাক্টফুল গবেষণার জন্য অধিক পরিমাণে বরাদ্দ প্রয়োজন। যাতে গবেষণালব্ধ ফলাফল মানুষের উপকারে ব্যবহার করা যায়। তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে যে সকল গবেষণা প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে, এবছরই তা শোকেসিংয়ের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হবে। যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ভ্যারিয়েন্ট ও সক্ষমতার বিষয়ে সকলে জানতে পারে।
উপাচার্য বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কাজের চাপ ও শিক্ষক সংকট দূরীকরণে টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ এবং গবেষকদের সহায়তার জন্য রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ চালুর বিষয়ে সিন্ডিকেট অনুমোদন দিয়েছে। এটিকে এগিয়ে নিতে তিনি ইউজিসির সহযোগিতার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থেকে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসির সচিব ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে উচ্চতর গবেষণা অনস্বীকার্য। যে দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা যত বেশি উন্নত, সে দেশও তত বেশি উন্নত। তাই দেশ ও জাতির উন্নয়নে অধিক পরিমাণে প্রায়োগিক গবেষণার প্রয়োজন। তিনি গবেষণা ফলাফল প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, বর্তমানে নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. সেখ মোঃ এনায়েতুল বাবর। স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইউজিসির অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ কবিরুল হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রিসার্চ অফিসার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন তুহিন।
এ কর্মশালায় ইউজিসি থেকে অর্থায়নপ্রাপ্ত গবেষণা প্রকল্পের গবেষক খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
ঊআ-বিএস