খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চাকুরিচ্যুত আউটসোর্সিং কর্মচারী ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালকের কথিত ভাগ্নে আদনান মাহমুদের প্রতারণা কোনো ভাবেই থামছে না।এর দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সাধারণ কর্মচারীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আদনানের চাকরি না থাকলেও তিনি সকল আউট সোর্সিং কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে চাকুরির ব্যবস্থা করবেন বলে তাদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী আউটসোর্সিং কর্মচারী পরিষদ। করেছেন ৭ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয়ক কমিটি। দাবি আদায়ে করছেন মানববন্ধন।আর এসব করতে টাকা ওঠানোর অভিযোগ উঠছে তার বিরুদ্ধে।
এর আগে হাসপাতালে আগত রোগীদের বিভিন্ন ভাবে বুঝিয়ে কমিশনে বাহিরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। খুমেক হাসপাতালের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নামে দান করা রক্ত অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগও রয়েছে আদনানের বিরুদ্ধেবিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হলে তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আউটসোর্সিং কর্মচারী বলেন, এই আদনান রক্ত চুরি করে বিক্রি করার অপরাধে চাকুরি হারিয়েছে। এখন সে নতুন প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে।
দল পাকিয়ে বলছে সকল আউটসোর্সিং কর্মচারীদের চাকুরি স্থায়ী করা হবে। এজন্য আমরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় দৌড়াতে হবে. বিভিন্ন জায়গায় খরচ আছে। এই বলে সে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কয়েকদিন আগে ঢাকায় ১১৪ জন আউট সোর্সিং কর্মচারীদের সে ঢাকায় নিয়ে গেছে।
জানা যায়, খুলনা জেলার রুপসা থানার ২নং শ্রীফলতলা ইউনিয়নের যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন এই আদনান মাহমুদ। এছাড়া খুমেক হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. মুঞ্জুর মোর্শেদের ভাগ্নে পরিচয় দিতেন তিনি।
এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে আদনান মাহমুদ বলেন, আউট সোর্সিং কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করণের জন্য আমরা প্রচেষ্টায় আছি। তবে কারো কাছ থেকে কোনো টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরএমও ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, আমার জানামতে এই আদনান খুমেক হাসপাতালের কোনো কর্মচারী নয়। কেউ তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলে আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।