UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খুলছে কুয়েটের সব হল

ঊষার আলো রিপোর্ট
এপ্রিল ২৩, ২০২৫ ৫:৪৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সব আবাসিক হল আজ খুলে দেওয়া হচ্ছে। বুধবার দুপুরে কুয়েট সিন্ডিকেটের ১০২তম (জরুরি) সভায় হলগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান ভূঞা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১০১তম (জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালু করা এবং ২ মে আবাসিক হলসমূহ খোলার বিষয়ে বলা হয়। বুধবার (২৩ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১০২তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ ২ মে-এর পরিবর্তে বুধবার বিকালে খোলা হবে।

এদিকে কুয়েট অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তিন সদস্যের কমিটি। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন।

এদিকে বুধবার সকাল ১০টার দিকে কুয়েটে আসেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার। উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করলেও তারা অনশন থেকে সরে আসেনি। ৪০ মিনিটের মতো সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে ক্যাম্পাস ছাড়েন উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা বলেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়, আইন মেনেই সবকিছু করার চেষ্টা করা হবে। শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরে আসতে হবে। ছাত্রদের বহিষ্কার আদেশ ও মামলা তুলে নেওয়ার আশ্বাস দেন। সব সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন উপদেষ্টা। তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরে তা অচিরেই বাস্তবায়িত হবে। উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের অনশন থেকে সরে আসার অনুরোধ জানান।

এ সময় খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ অনশনরত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগতদের সংঘর্ষের ঘটনার পর ৬ দফা আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ক্যাম্পাস ও হল বন্ধ ঘোষণা করে। হামলার ঘটনায় কুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হয়েছে পাশাপাশি ঘটনা সঙ্গে জড়িত সন্দেহের ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। অন্যদিকে কুয়েট ক্যাম্পাসের বাইরের একজন বহিরাগত ২২ জন শিক্ষার্থীকে নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করে।

গত ১৩ এপ্রিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা হল খুলে দেওয়ার দাবিতে পুনরায় আন্দোলন শুরু করে। কিন্তু কোনো সাড়া না উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে সোমবার বিকাল থেকে শিক্ষার্থীরা অনশন শুরু করেন। সেদিন ৩২ জন শিক্ষার্থী অনশন শুরু করলে ইতোমধ্যে পাঁচজন অসুস্থ হয়ে মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন।

ঊষার আলো-এসএ