খুলনায় আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে এক প্রস্তুতিসভা আজ (সোমবার) সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, খুলনায় ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের প্রধান জামাত সকাল আটটায় সার্কিট হাউস ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। খুলনা টাউন জামে মসজিদে সকাল নয়টা ও সকাল ১০টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে ঈদের প্রধান জামাত সকাল আটটায় খুলনা টাউন জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। খুলনা জেলা মডেল মসজিদ ও কালেক্টরেট জামে মসজিদে সকাল সাড়ে আটটায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ও ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে পৃথক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের দিন সকল সরকারি, আধাসরকারি, সায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সঠিক রঙ ও মাপের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও ঈদমোবারক খচিত পতাকা দ্বারা সজ্জিত করা হবে। সড়ক ও নৌপথে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের যাত্রা নির্বিঘœ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের টহল কার্যক্রম বৃদ্ধি করবে। ঈদের দিন সকল সরকারি হাসপাতাল, এতিমখানা, সরকারি শিশু পরিবার, কারাগার, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র, দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। ঈদ উপলক্ষ্যে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় পত্রিকাগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, গতবছরের ন্যায় এবারও পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর আনন্দময় ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। ঈদ হলো ধর্মীয় অনুষ্ঠান, আনন্দ ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে ঈদ আনন্দ উপভোগ করা আবশ্যক। ঈদের আগের রাতে পটকা-আতশবাজি ফোঁটানো থেকে শিশুদের বিরত রাখতে অভিভাবকদের অনুরোধ করেন সভাপতি।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমার মন্ডল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শেখ ইমরান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল এ) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-সহ মসজিদের ইমামগণ উপস্থিত ছিলেন।
ঊআ-বিএস