UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ৯ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ১০ম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী পালন

ঊষার আলো ডেস্ক
মে ১৮, ২০২৪ ৫:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

যে জাতি পেছনের স্মৃতি ভুলে যায়, সে জাতির কিছুই থাকে না
                                                  -সিটি মেয়র

উদ্বোধন, আলোচনা সভা, বিশেষ সেমিনারসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আজ (শুক্রবার) খুলনায় গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ১০ম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী পালন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে সকালে খুলনার সাউথ সেন্ট্রাল রোডস্থ গণহত্যা জাদুঘর অডিটোরিয়ামে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র বলেন, ১৭ মে বিশেষ ঐতিহাসিক দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের এই দিনে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। বাঙ্গালি জাতিকে চিরতরে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চলাইট নামে নিরস্ত্র বাঙ্গালির ওপর নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। এটি ছিলো একটি প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেওয়ার এক নারকীয় পরিকল্পনা। কিন্তু বাঙ্গালি জাতির সৌভাগ্য যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই শোষণ ও অত্যাচার থেকে বাঙ্গালি জাতিকে মুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, চুকনগরে গণহত্যা, খুলনার গল্লামারীসহ বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অপারেশন চালিয়ে হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। যে জাতি পেছনের স্মৃতি ভুলে যায়, সে জাতির কিছুই থাকে না। মহান মুক্তিযুদ্ধের ও গণহত্যার সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের নিকট তুলে ধরতে মেয়র অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান। জাদুঘরটির উন্নয়নের জন্য সার্বিক সহযোগিতা করার আশ^াস দেন তিনি।

গণহত্যা জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণহত্যা জাদুঘর ট্রাস্টের ট্রাস্টি সম্পাদক অধ্যাপক চৌধুরী শহীদ কাদের।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিশেষ সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণহত্যা জাদুঘর ট্রাস্টের ট্রাস্টি লে. কর্নেল (অব:) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীর প্রতীক ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শরীফ উদ্দিন আহমেদ। গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে দুইটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের পশ্চিবঙ্গের গবেষক ড. সাগর তরঙ্গ মন্ডল ও পুনম মুখার্জি। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন গণহত্যা জাদুঘর ট্রাস্টের ট্রাস্টি অধ্যাপক মো. মাহবুবর রহমান।

উল্লেখ্য, আজ থেকে খুলনার গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।