UsharAlo logo
শুক্রবার, ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় ছাত্রশিবিরের গণমিছিল

ঊষার আলো প্রতিবেদক
জানুয়ারি ৩১, ২০২৫ ৮:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কেন্দ্র ঘোষিত “ফ্যাসিস্ট সরকারের গুম, খুন, দুর্নীতিসহ সকল রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং জুলাই গণহত্যার সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে” গণমিছিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগর শাখা।
গণমিছিল টি জুমার নামাজ শেষে বাইতুন নূর জামে মসজিদ থেকে শুরু হয়ে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রয়েল মোড় চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
উক্ত গণমিছিল পরবর্তী সমাবেশে খুলনা মহানগর সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলনের সভাপতিত্বে মহানগর সেক্রেটারি রাকিব হাসানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক নোমান হোসেন নয়ন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে নোমান হোসেন নয়ন বলেন, এক মাস, দুই মাস নয় দীর্ঘ ছয়টি মাস চলে যাওয়ার পরেও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে খুনিদের বিচার কার্যকরের জন্য দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না।
আমরা দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই- পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে যারা জুলাই আন্দোলনে আমাদের ভাই-বোনদের ওপর গুলি চালিয়েছে, তাদের বিচারের জন্য যতদিন দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না ততদিন ছাত্রশিবিরের একজনও জনশক্তি রাজপথ থেকে ঘরে ফিরবে না। যে জন্য আমাদের ভাইয়েরা শহিদ হয়েছেন, সেই মানবিক ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে আরাফাত হোসেন মিলন হোসেন বলেন, সিরিয়ায় নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের তিন দিনের মাথায় ৩৫ জন স্বৈরাচারীর দোসর কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। আমাদের এখানে ছয়মাস হয়ে গেছে, খুনিদের বিচার প্রক্রিয়ায় এত দেরি হচ্ছে কেন ? এখন পর্যন্ত কারো বিচার নিশ্চিত করা যায়নি, বিচার প্রক্রিয়ারও কোন অগ্রগতি দেখি না। তারা বুক ফুলিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি এটিএম আজহার উদ্দিন কে অবৈধ সরকারের পাতানো আদালত বিচারের নামে প্রহসনের মাধ্যমে দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে কারাগারে আটকে রেখেছে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে এটিএম আযহার উদ্দিন কে মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান ,অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ফ্যাসিস্ট পলাতক খুনি হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে।
প্রশাসনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা খুনি হাসিনার প্রেতাত্মাদের ও কার্যকর বিচারের আওতা নিয়ে আসতে হবে।
শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় মূল্যবোধ সহ নৈতিকতা সমৃদ্ধ শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে।
শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা দূর করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।
আর বক্তব্য তিনি আরো বলেন, শান্তির শহর হিসেবে খ্যাত খুলনা নগরীর মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। কয়েকদিন আগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র খুন হয়েছে। প্রতিদিন কোন না কোন নৈরাজ্যের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে খুলনায় শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
উক্ত গণ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবির সাবেক খুলনা মহানগর সভাপতি মুশারফ আনসারী, সাবেক মহানগর সভাপতি আব্দুল আওয়াল,সাবেক খুলনা মহানগর সভাপতি জাহিদুর রহমান নাঈম, সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি ইমামুল ইসলাম, সাতক্ষীরা শহর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, খুলনা জেলা উত্তর সভাপতি ইউসুফ ফকির , বাগেরহাট জেলা সভাপতি মোর্শেদ আলম সহ মহানগরের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।