আজ (বুধবার) থেকে পাচঁ দিনব্যাপী খুলনার জাতিসংঘ শিশু পার্কে আলোকচিত্র প্রদর্শনী “বাংলাদেশী এবং সুইডিশ বাবা” শুরু হয়েছে। বিকালে বাংলাদেশে সুইডিশ রাষ্ট্রদূত এইচ. ই. নিকোলাস উইকস এই প্রদশনীর উদ্বোধন করেন। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে সন্তানের প্রতি সক্রিয় যতœদাতা হিসাবে বাবাদের ক্রমবর্ধমান ভূমিকাগুলিকে তুলে ধরা হয়েছে। এর মাধ্যমে ঐতিহ্যগত লিঙ্গ স্টিরিওটাইপ গুলিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে সুইডেনের দূতাবাস, ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ এবং ইউএন ওমেন এর সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীতে বাবা-মা’য়ের সাথে সম্পর্কিত বাংলাদেশী বাবাদের ২৩ টি ফটোগ্রাফ প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, এ. আই. ইউএনএফপিএ প্রতিনিধি মাসাকি ওয়াতাবে, ইউএন উইমেন প্রতিনিধি মিস. গীতাঞ্জলি সিং, প্রথম আলো’র সিনিয়র ফটোগ্রাফার মিসেস সাবিনা ইয়াসমিন ও সাইফুল হক।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, খুলনা প্রদর্শনীর আলোকচিত্রগুলি দর্শকদের সক্রিয় যত্নশীল হিসাবে বাবাদের ভূমিকা অন্বেষণ করা ও ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনের অনন্য সুযোগ প্রদান করবে। আধুনিক পিতৃত্বের অনুপ্রোরনা এবং লিঙ্গ সমতাকে উন্নীত করতে উৎসাহিত করবে। এই প্রদশর্নী বাংলাদেশে লিঙ্গ সমতা সম্পর্কে ইতিবাচক রোল মডেল এবং স্বতঃস্ফূর্ত কথোপকথনের প্রদর্শনের মাধ্যমে লিঙ্গ সমতা প্রচারের গুরুত্ব আরোপ করবে বলে আশাবাদ আয়োজকদের।
প্রখ্যাত সুইডিশ ফটোগ্রাফার জোহান বাভম্যানের উদ্যোগ পুরস্কার বিজয়ী “সুইডিশ ড্যাড্স ” থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে পরবর্তীতে বাংলাদেশী প্রেক্ষাপটে আকর্ষনীয় গল্পের মাধ্যমে প্রদর্শনীটির আয়োজন করা হয়। অনলাইনে অনুষ্ঠিত মাসব্যাপী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১০০টি গল্প ও ছবি জমা পড়ে। এরমধ্যে জুরি বোর্ডে ২৩ জন বাবাকে নির্বাচিত করে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রদর্শনের ব্যাপক সাড়া ফেলে। ৩৫ হাজারের বেশি দর্শককে আকর্ষণ করেছিল এবং ব্যাপক ইতিবাচক সাড়া ফেলেছিল।