খুলনায় বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা আজ (সোমবার) দুপুরে নগরীর সিএসএস আভাসেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ডা. মোঃ মনজুরুল মুরশিদ। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘প্রতিশ্রুতি, বিনিয়োগ ও সেবাদান দ্বারা সম্ভব হবে যক্ষ্মামুক্ত বাংলাদেশ গড়া’।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, যক্ষ্মা এখন আর মারাত্মক রোগ নয়। এটি একটি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য রোগ। রোগটি হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নিয়মিত ঔষধ সেবন করলে এ থেকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, যক্ষ্মা নির্মূলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে যক্ষ্মা নিমূর্ল করার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। প্রতিবছর দেশে তিন লাখের বেশি মানুষের যক্ষ্মারোগ শনাক্ত হয়। আরো ১৭ শতাংশ রোগী শনাক্তের বাইরে রয়ে যায়। এ রোগে আক্রান্ত সকলকে শনাক্ত করার চেষ্টা করতে হবে। বর্তমানে শনাক্ত হওয়া শতভাগ রোগীকে আমরা চিকিৎসার আওতায় আনতে পেরেছি। ৩০টি যক্ষ্মা প্রবণ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সপ্তম স্থানে রয়েছে। এজন্য রোগটি প্রতিরোধ ও প্রতিকারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. মোছাঃ মাজফুজা খাতুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোঃ আবু শাহীন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোঃ মহসিন আলী ফরাজী, বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের উপপরিচালক মোঃ মুজিবুর রহমান, যক্ষ্মা বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ আনোয়ারুল আজাদ, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোঃ রফিকুল ইসলাম গাজী, ব্র্যাকের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মোঃ আসাদুজ্জামান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
প্রসঙ্গত, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী ২০২৪ সালে যক্ষ্মা উপসর্গ আছে এমন প্রায় ৩০ লাখের অধিক ব্যক্তিকে পরীক্ষা করে মোট তিন লাখ ১৩ হাজার ৬২৪ জন যক্ষ্মারোগী শনাক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮৫ হাজার ৬০৮ জন, চট্টগ্রামে ৬০ হাজার ৩০৯, রাজশাহীতে ৩৫ হাজার ৮১৯, রংপুরে ৩৪ হাজার ৮৩৩, খুলনায় ৩৪ হাজার ১৪ জন, বরিশালে ১৯ হাজার ৬০০, সিলেটে ২২ হাজার ২২ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ২১ হাজার ৪১৯ জন রোগী সনাক্ত করা হয়েছে।
এর আগে সিএসএস আভাসেন্টার চত্বর থেকে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় সরকারি কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, কেসিসি-সহ ব্র্যাক, পিমে সিস্টারস, কেএমএসএস, নাটাব, পিকেএস ও দ্বীপশিখাসহ বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।