UsharAlo logo
সোমবার, ১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনার ব্যবসায়ী মুন্না হত্যায় মামলা, গ্রেফতার নেই

koushikkln
জুন ৩০, ২০২২ ১১:৪২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক এবং সেনহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হালিম ও দৌলতপুরের ব্যবসায়ী হোজি শহীদ হত্যা মামলার আসামী জুলকার নাইম ওরফে মারজান আহম্মেদ ওরফে মুন্না (৩৮) কে গুলি হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে ভিকটিমের বোন হোমায়রা বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় অজ্ঞাত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যাহার নং-২৫, তাং ৩০-৬-২২ইং। মুন্না হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

এজাহারে বাদী জানান, খুন হওয়া মুন্না ঠিকাদারি ব্যবসাসহ জায়গা জমি বেচাকেনার সাথে জড়িত ছিল। সে আমাদের নিজ বাড়ীতে থাকতো এবং মাঝে মাঝে মুজগুন্নি আমার মামার বাড়ীতে অবস্থান করতো। গত ২৯ জুন (বুধবার) রাতে লোক মারফতে জানতে পারি হত্যার উদ্দেশে অজ্ঞাত আসামীদ্বয় আমার ভাইকে গুলি করে গুরুতর জখম করে মুজগুন্নি রাস্তার উপর ফেলে রেখে গেছে এবং স্থানীয়রা তাকে গুরুতর জখম অবস্থায় খুমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই খবর শোনা মাত্রই আমি খুমেক হাসপাতালে পৌঁছে আমার ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই। সেখানে গিয়ে শুনতে পারি ঘটনার দিন রাতের বেলায় মুন্না মামা বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে ইজিবাইকে এসে মুজগুন্নি বাসষ্ট্যান্ড চৌরাস্তার মোড় খুলনা-যশোর মহাসড়কের উপর পশ্চিমপাশে নামে এবং নামা মাত্রই অজ্ঞাতনামা আসামীদ্বয় আমার ভাইকে গুলি করে গুরুতর জখম করে ঘটনাস্থল হতে মোটরসাইকের যোগে দ্রুত পালিয়ে যায়। মুন্না পাকা রাস্তায় উপর পরে থাকলে স্থানীয় জনতা গুলির শব্দ শুনে অতঃপর তাকে জখম অবস্থায় খুমেক হাসপাতালে নিয়ে গেল সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে। অজ্ঞাত আসামীদ্বয় পরস্পর যোগসাজসে মুন্নাকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গুলি করে হত্যা করেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাসমত আলী জানান, গত ২৯ জুন রাতে দুর্বৃত্তদের হামলা খুন হওয়া ভিকটিম মুন্নার লাশ সুরতহাল সম্পন্ন করে ময়না তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বেলা ১১ টার দিকে তার স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট থানায় অজ্ঞাত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্ত প্রক্রিয়াধীন এবং এ ঘটনায় জড়িদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর জানান, বাদীর এজাহারের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট থানার ইতিমধ্যেই অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মামলার তদন্ত প্রক্রিয়াধীন। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের ব্যাপারে অভিযান চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওয়ার আনা হবে।

উল্লেখ্য, ২৯ জুন (বুধবার) রাতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হওয়া জুলকার নাইম ওরফে মারজান আহম্মেদ ওরফে মুন্না দিঘলিয়া উপজেলার সুগন্ধী দেবনগর এলাকার বাসিন্দা মৃতঃ সোহরাব মোল্লার পুত্র। নিহত মুন্না সেনহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হালিম ও দৌলতপুরের ব্যবসায়ী হাজি শহীদ হত্যা মামলার আসামিও ছিলেন।