তথ্যবিবরণী : খুলনা হাইটেক পার্কে প্রতিবছর এক হাজার তরুণ-তরুণীকে আইটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বিভিন্ন সেক্টরে প্রায় তিন হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। খুলনা আইটি/হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে এতথ্য জানান তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) সকালে খুলনা রূপসা নদীর তীরে (দাদাম্যাচ ফ্যাক্টরীর সামনে) এই পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। পরে এ উপলক্ষ্যে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, কেউ কথা রাখে না, কথা রাখেন কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যা বলেন তা করে দেখান। তিনি বলেছিলেন ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বেন, তিনি তা করে দেখিয়েছেন। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল এখন আমরা সবাই ভোগ করছি। তিনি বলেছিলেন, নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করবেন, তিনি তা করে বিশে^র দরবারে দেখিয়েছেন আমরাও পারি। পদ্মা সেতু উদ্বোধন শেষে ঢাকার সাথে খুলনার যোগাযোগ বাড়বে এবং এর সুফল পেতে হলে এখনই খুলনাকে প্রস্তুত হতে হবে।
সভাপতির বক্তৃতায় তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুলনা এলাকার মানুষ অনেক প্রযুক্তি সচেতন। আইটি সেক্টরে খুলনায় অনেক উদ্যোক্তা আছে। অনেকে ফ্রি-ল্যান্সিং করে, সরকারের লার্নিং এ্যান্ড আর্নিং প্রজেক্টের মাধ্যমে রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে বিদেশী মুদ্রা দেশে আনছে। এই হাইটেক পার্ক এ অঞ্চলের মানুষের নিজেদের আইটি দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ করে দেবে। সরকারের নানা প্রযুক্তিগত উদ্যোগের ফলে দেশের গ্রাম ও শহরের মধ্যে বৈষম্য দূর হয়েছে। সাড়ে ছয় লাখ ফ্রি-ল্যান্সার ঘরে বসে বছরে পাঁচশত মিলিয়ন ডলার আয় করছে। এছাড়া অন্যান্য আইটি সেক্টর মিলিয়ে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বছরে ১.৪ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনছে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রযুক্তি শিল্পে ৩০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে এবং এ সেক্টর থেকে আয় হবে ৫ বিলিয়ন ডলার। এসব লক্ষ্যকে সামনে রেখেই দেশের ১২ জেলায় এই হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জেলাতেও হবে। খুলনায় হাইটেক পার্ক নির্মাণে একশত ৭০ কোটি টাকা ব্যয় হবে উল্লেখ্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন , ২০২৪ সালের ৩০ জুন নির্মাণ কাজ শেষ হবে। সাড়ে তিন একর জায়গায় নিমিতব্য সাত তলা ভবনের মধ্যে ট্রেনিং, ইনকিউবেশন. স্টার্টআপ এবং বিজনেস ফ্লোর থাকবে। তিনি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে খুলনা বাসীকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোবাবেলার জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, খুলনাস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অসীম কুমার শান্ত্রা, জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম। স্বাগত জানান আইটি/হাই-টেক পার্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা: বিকর্ণ কুমার ঘোষ। ধন্যবাদ জানান প্রকল্প পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হক।
(ঊষার আলো-এফএসপি)