ঊষার আলো ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে খুলনা উপকূলে ঝড়বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া সকাল থেকেই শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দাকোপ ও কয়রার আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন প্রায় ৪২ হাজার লোকজন। তাদের মাঝে শুকনো খাবার ও পানি সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জানান বলেন, কয়রার বেদকাশি ও সদরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষ সবচেয়ে বেশি আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন। অন্যান্য এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ লোকজনও আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। সব মিলিয়ে কয়রার ছয় হাজার লোকজন এখন আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন। আরও লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার চেষ্টা চলছে। এখানে আশ্রয়কেন্দ্রে এক লাখ ৪৩ হাজার ২৫০ জনের ধারণক্ষমতা রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বাকি লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস বলেন, উপকূলের ৩৬ হাজার মানুষ বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে গেছেন। ৯০ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে আমাদের। এজন্য ১১৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বাকি লোকজনকে রাতের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার প্রচেষ্টা চলছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আসা লোকজনের মধ্যে শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, জেলার উপকূলীয় এলাকার ৫৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে দাকোপে ১১৮টি, বাটিয়াঘাটায় ২৩টি, ডুমুরিয়ায় ২৫টি, কয়রায় ১১৮টি, পাইকগাছায় ১০৮টি, তেরখাদায় ২২টি, রূপসায় ৩৮টি, ফুলতালায় ২৫টি ও দিঘলিয়া উপজেলায় ৭১টি রয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে কেন্দ্রগুলোতে মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। প্রতিটি উপজেলায় ৫টি এবং প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে ১১৬টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক সেবা দেওয়ার জন্য চিকিৎসক-নার্স ও ওষুধপত্র ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঊআ-বিএস