UsharAlo logo
শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় উপজেলা পরিষদে চুরি

koushikkln
এপ্রিল ১৭, ২০২২ ৭:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : বাংলা নববর্ষে খুলনার ফুলতলা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে সকালে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা আর রাতে বিভিন্ন দপ্তরে রহস্যজনক চুরি সংগঠিত হয়। চোরেরা ৫টা রুমের জানালার গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঢুকে কাগজপত্র তছনছ করলেও শুধুমাত্র অফিস সহকারীর ড্রয়ার থেকে ১ লাখ ৯১ হাজার ৭শ’ টাকা চুরির অভিযোগ করা হয়েছে। ওইদিন রাত ৯টা থেকে পরের দিন ভোর ৬টা পর্যন্ত পরিষদের সিসি ক্যামেরাও অজ্ঞাত কারণে বন্ধ থাকে।

উপজেলা পরিষদের সাঁট-মুদ্রাক্ষারিক কাম কম্পিউটার অপারেটর বি.এম সেলিম রেজা বলেন, শনিবার রাত আনুমানিক ৭ টার দিকে ইউএনও স্যারের একটা ফাইল খুঁজতে দরজার তালা খুলে রুমে গিয়ে দেখি টেবিলের ড্রয়ার ভাঙা এবং কাগজপত্র ছড়ানো ছিটানো রয়েছে। গভীর নলকুপের জন্য গ্রাহকের কাছ থেকে জমা নেয়া ১ লাখ ৯১ হাজার ৭শ’ টাকা ড্রয়ারে নাই। ফুলতলা থানার ওসি মোঃ ইলিয়াস তালুকদার বলেন, শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে ইউএনও সাদিয়া আফরিনের ফোন পেয়ে উপজেলা পরিষদে যাই। এ সময় উপজেলা পরিষদ ভবনের দ্বিতীয় তলায় চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষ, সভা কক্ষ, অফিস সহকারীর কক্ষ, প্রকৌশলীর অফিস কক্ষ ও হিসাব সহকারী অফিস কক্ষ এবং নিচ তলার পরিসংখ্যান অফিস কক্ষের উত্তর পাশে অর্থাৎ পিছনের জানালার কপাট খুলে গ্রিলের সামান্য অংশ ভাঙা ও টেবিল ও আলমারীর ড্রয়ার খোলা ও কাগজপত্র ছড়ানো ছিটানো দেখা যায়। ব্যাংকের চেক ও মুল্যবান কাগজপত্র ছড়ানো ছিটানো থাকলেও কিছুই খোয়া যায়নি। তবে উপজেলা পরিষদের সাঁট-মুদ্রাক্ষারিক কাম কম্পিউটার অপারেটর বি.এম সেলিম রেজার দপ্তরের ড্রয়ার থেকে ১ লাখ ৯১ হাজার ৭শ’ টাকা খোয়া গিয়েছে বলে তার অভিযোগ। ঘটনার রাতে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) রাত ৯টা থেকে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত ভবনে স্থাপিত সিসি ক্যামেরা অজ্ঞাত কারণে বন্ধ থাকে। এই সময়ের মধ্যেই ঘটনাটি ঘটে। সকাল ৬টা থেকে পুনরায় সিসি ক্যামেরা চালুর বিষয়টি জনমনে রহস্যের জন্ম দিয়েছে। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিসি ক্যামেরা অপারেটর ফাহাদ হোসেন বলেন, পরিকল্পিতভাবে কেউ না কেউ রাউটারের কাছ থেকে সিসি ক্যামেরা ক্যাবল খুলে রাখার জন্য ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়নি।

ইউএনও সাদিয়া আফরিন বলেন, চুরির খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে ফুলতলা থানার ওসি মোঃ ইলিয়াস তালুকদারকে খবর দিলে তিনি ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক তদন্তের কাজ শুরু করেন। সঠিক ও সুষ্ঠু তদন্তে রহস্যজনক এ চুরির রহস্য উৎঘাটিত হবে। এদিকে রোববার সকালে খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এবং সিআইডির একটি বিশেষ টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে বি.এম সেলিম রেজা রোববার দুপুরে বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে ফুলতলা থানায় মামলা দায়ের করেন।