UsharAlo logo
রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় জাতীয় শোক দিবস পালিত

koushikkln
আগস্ট ১৫, ২০২২ ৪:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

তথ্যবিবরণী (১৫ আগস্ট): হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।


এদিন সোমবার সকাল আটটায় খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে স্থাপিত জাতির পিতার ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ১৫ আগস্টে শাহাদত বরণকারী জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী, কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা, রেঞ্জ ডিআইজি ড. খঃ মহিদ উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এসময় পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীন পতাকা ও স্বাধীন ভূখন্ড দিয়েছেন। স্বাধীন দেশে আমরা মাথা গোঁজার ঠাঁই, পরনের কাপড় ও তিন বেলা খাবারের নিশ্চয়তা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর আগেও অনেকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছেন কিন্তু বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পেরেছেন। শেখ মুজিব কখনও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি বাঙালি জাতিকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন, যা বাস্তবায়নের আগেই তিনি দুষ্কৃতিকারীদের হাতে নিহত হন। আজ তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনার ঐকান্তিক চেষ্টায় আমরা উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। বাংলাদেশ আজ বিশে^র বুকে উন্নয়নের রোল মডেল।


অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার জিনাত আরা আহমেদের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। খুলনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে গরীব দুস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ এবং অসুস্থ্য অসহায় ব্যক্তিদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

কেসিসি’র উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ও মহানগরীর সকল মসজিদে দোয়া মাহফিলসহ বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। সকল সরকারি, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় শোক দিবসের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ আলোচনা সভা, আবৃত্তি, রচনা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী, হামদ ও নাত প্রতিযোগিতা এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। খুলনা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, শিশু পরিবার ও ভবঘুরে আশ্রয় কেন্দ্রসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
জাতীয় শোক দিবসে স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো বিশেষ সংখ্যা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে এবং বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্র বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে।
খুলনার উপজেলাসমূহেও অনুরূপ কর্মসুচি পালিত হয়।

।। ওয়ার্কার্স পার্টির জাতীয় শোক দিবস পালন ।।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস স্মরণে বেলা ১১টায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটির উদ্যোগে খুলনা প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে যথাযথ মর্যাদায় পুষ্পমাল্য প্রদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং পরবর্তীতে পার্টির নিজস্ব কার্যালয়ে পার্টির খুলনা জেলা সভাপতি কমরেড এড. মিনা মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে ঘাতকরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। আজ তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে অবিলম্বে ’৭২-এর সংবিধানের আলোকে দেশকে পরিচালনা করতে হবে।

সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির মহানগর সভাপতি কমরেড শেখ মফিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কমরেড এস এম ফারুখ-উল ইসলাম, জেলা সম্পাদকম-লীর সদস্য কমরেড দেলোয়ার উদ্দিন দিলু, মহানগর সম্পাদকম-লীর সদস্য কমরেড নারায়ণ সাহা, কমরেড আরিফুর রহমান বিপ্লব, কমরেড জগদ্বিশ চন্দ্র ম-ল, কমরেড কৃষ্ণকান্তি ঘোষ, কমরেড অনিল কুমার দে, মৃত্যুঞ্জয় সরদার, ছাত্র মৈত্রীর জেলা সভাপতি বিকাশ চন্দ্র ম-ল প্রমুখ।

|| খুবিতে জাতীয় শোক দিবস পালিত ||

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ১৫ই আগস্ট (সোমবার) হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবসের কর্মসূচির শুরুতে সকাল ৯টায় শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সামনে কালোব্যাজ ধারণ, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

সকাল ৯.১০ মিনিটে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের প্রাক্কালে উপাচার্যের নেতৃত্বে শোকর‌্যালি শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে হাদী চত্ত্বর ঘরে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে স্থাপিত কালজয়ী মুজিব চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এসময় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) উপস্থিত ছিলেন। এরপরপরই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল, বিভিন্ন স্কুল (অনুষদ), বিভিন্ন ডিসিপ্লিন (বিভাগ), বিভিন্ন হল, শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স কল্যাণ পরিষদ ও বিভিন্ন সংগঠন এবং কর্মচারীবৃন্দের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল ৯.৩০ মিনিটে ক্যাম্পাসে অদম্য বাংলার অদূরে খননকৃত নতুন পুকুরের পাড়ে সোনালু, বনসোনালু, ম্যানগ্রোভ লাল কাঁকড়া প্রজাতি এবং তালের চারা রোপণ করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে উপাচার্য এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য যৌথভাবে সোনালু গাছের চারা রোপণ করেন। এরপরে খানজাহান আলী হলেও একটি বকুলের চারা রোপণ করেন উপাচার্য।
এছাড়া বেলা ১১টায় আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিছকই একটি হত্যাকাণ্ড নয়; এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে একটি জাতিকে হত্যা করা হয়। বাঙালি জাতির আশা, আকাক্সক্ষা ও স্বপ্নকে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ছাপিয়ে বিশ্বে একটি সম্মানজনক অবস্থান তৈরি করে নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু থেকে তিনি বিশ্ববন্ধুতে পরিণত হয়েছিলেন। কিন্তু এই বিশ্ববন্ধু হওয়া অনেকেই পছন্দ করেননি। যার কারণে দেশ ছাপিয়ে বিদেশেও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অপপ্রচার শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধু থেকে তাঁকে বন্ধুহীন করার অপ্রচেষ্টা করা হয়। জনপ্রিয় নেতা থেকে অপ্রিয় নেতায় পরিণত করার ষড়যন্ত্র চলতে থাকে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পূর্বে দেশে নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু হয়। বাকশাল ও ব্যাংক সেক্টর নিয়ে নানা রকম প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়। যার অংশ হিসেবে গুপ্ত হত্যা করা হয়। ঈদের নামাজের মধ্যে এমপিকে হত্যা করা হয়।

সভা মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক, প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান। আলোচনাকালে তিনি ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ এর সুদীর্ঘ ইতিহাস, ৭৫ এর পূর্ব ও পরবর্তী প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশ অচল। তিনি চিন্তা করেছেন স্বাধীন দেশ গড়বেন, দারিদ্র্যমুক্ত করবেন; তা তিনি করে দেখিয়েছেন। তিনি খোকা থেকে মুজিবুর, মুজিব ভাই, বঙ্গবন্ধু, জাতির পিতা পর্যন্ত উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। তিনি কর্মী থেকে নেতা হয়েছে। প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ইতিহাসের সাথে বঙ্গবন্ধুর নাম জড়িত। ভাষা আন্দোলনের প্রথম কারাবন্দীও তিনি। চাইলেই কেউ তার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু নামের ওপর মুকিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু না থাকলে ৯ মাসে স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব হতো না। ৯ মাসের মধ্যে দেশের সংবিধান রচিত হতো না। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনের কাজে অগ্রগতি হতো না। শক্তিশালী অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে উঠতো না।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা। সূচনা বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। সভাপতিত্ব করেন শোক দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি এবং কলা ও মানবিক স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. রুবেল আনছার। আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. তরুণ কান্তি বোস ও অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দীপক চন্দ্র মন্ডল।
আলোচনা সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট রাতে নিহত শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে সেখানে আইন ডিসিপ্লিন কর্তৃক প্রকাশিত স্মরণিকা ‘অগ্নিগিরির অস্তাচল’ এর ৫ম সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন উপাচার্য। এসময় উপ-উপাচার্য, মুখ্য আলোচক, আইন স্কুলের ডিন ও ডিসিপ্লিন প্রধান, স্মরণিকা প্রকাশনার সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এরপর সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘হাসিনা: এ ডটার্স টেল’ প্রদর্শিত হয়। এছাড়া বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল ৯.৫০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় মন্দিরে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
অপরদিকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে প্রভোস্ট প্রফেসর ড. তানজিল সওগাতের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এছাড়া কোরআনখানি অনুষ্ঠিত এবং এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- রাতে হলে ৫ মিনিট নিষ্প্রদীপকরণ কর্মসূচি পালন করা হবে।

|| কুয়েটে জাতীয় শোক দিবস পালিত ||

খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৭ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২২ যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে। ১৫ আগস্ট সোমবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসনিক ভবন, ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের বাসভবন ও হলসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ০৮.৪৫টায় বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের সন্তানদের অংশগ্রহণে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা” শীর্ষক শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯.১৫টায় ক্যাম্পাসস্থ বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে বিভিন্ন অনুষদের ডীনবৃন্দ ও রেজিস্ট্রার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর শিক্ষক সমিতি, পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ), অফিসার্স এসোসিয়েশন, ফজলুল হক হল, লালন শাহ হল, খানজাহান আলী হল, ড. এম. এ. রশীদ হল, রোকেয়া হল, অমর একুশে হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কুয়েট শাখা, কর্মকর্তা সমিতি (আপগ্রেডেশন), কর্মচারী সমিতি, গৌরব’ ৭১, খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সকাল ১০ টায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর ড. ইসমাঈল সাইফুল্যাহ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ আরিফুল ইসলাম ও রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আনিছুর রহমান ভূঞা। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ হেলাল-আন-নাহিয়ান, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল হাসিব, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. শিবেন্দ্র শেখর শিকদার, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া, আরবান এন্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ মোস্তফা সারোয়ার, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ রুহুল আমিন, কর্মকর্তা সমিতির (আপগ্রেডেশন) সভাপতি এস এম সাজ্জাদ হোসেন, কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসিব সরদার। আলোচনা সভা শেষে বিশ^বিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েল ফেয়ার সেন্টারে “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা” শীর্ষক শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া, বাদ আসর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ।

 

|| যথাযোগ্য মর্যাদায় খুলনা প্রেস ক্লাবে
জাতীয় শোক দিবস পালিত||

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য্যরে মধ্য দিয়ে আজ সোমবার স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি  উপলক্ষে খুলনা প্রেস ক্লাবের হুমায়নু কবীর বালু মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম। পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা।


আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধংসের চেষ্টা করা হয়েছিলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বাঙালী জাতির সামনে তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে কেউ কখনো বাঙালী জাতির হৃদয় থেকে মুছে ফেলতে পারবে না।
আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, শেখ আবু হাসান, এস এম জাহিদ হোসেন ও ফারুক আহমেদ, ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাহেব আলী ও মল্লিক সুধাংশু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও ভোরের কাগজের জেষ্ঠ প্রতিবেদক আছাদুজ্জামান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের  নির্বাহী সদস্য মোঃ হুমায়ুন কবীর, খুলনা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ  এস এম কামাল হোসেন, সহকারী সম্পাদক  সুনীল কুমার দাস, নির্বাহী সদস্য মোঃ শাহ আলম. মোঃ আব্দুল হালিম ও শেখ মো: সেলিম, ক্লাব সদস্য ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আসাদ্জ্জুামান রিয়াজ, দিলীপ বর্মন, অস্থায়ী সদস্য নেয়ামুল হোসেন কচি, বাবুল আক্তার, সাংবাদিক অভিজিৎ পাল প্রমুখ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সহকারী সম্পাদক এ এইচ এম শামিমুজ্জামান ও আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, নির্বাহী সদস্য মো: তরিকুল ইসলাম, আলমগীর হান্নান, বাপ্পী খান, দেবনাথ রনজিৎ কুমার, দেবব্রত রায়, এস এম নূর হাসান জনি, নাজমা আক্তার, আব্দুল মালেক, আবু নুরাইন খোন্দকার, শেখ আব্দুল হামিদ, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অস্থায়ী সদস্য আল মাহমুদ প্রিন্স, রীতা রানী দাস, প্রবীর কুমার বিশ্বাস, তিতাস চক্রবর্তী, মোঃ হেলাল মোল্লা, মিলন হোসেনসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।

আলোচনা সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন খুলনা প্রেস ক্লাবের ইমাম মোঃ ইউসুফ হাবিব।
এর আগে ক্লাবের নেতৃবৃন্দ ক্লাবের অভ্যন্তরে অবস্থিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।