UsharAlo logo
বুধবার, ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খুলনায় ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল

koushikkln
অক্টোবর ২৪, ২০২২ ৭:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’র প্রভাবে খুলনাসহ আশপাশ জেলাগুলোতে চলছে ভারী বর্ষণ। বাতাসের তীব্রতাও ধীরে ধীরে বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস শুনলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলবাসী। ষাটের দশকের বেড়িবাঁধগুলো দুর্বল ও সংস্কারহীন থাকায় ঘূর্ণিঝড়ের জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা তাদের মনে। শহরে যাদের বাসা নিচু এলাকায় তারাও দুর্ভোগে পড়েছে।

এদিকে একটানা বৃষ্টি হওয়ায় শহরের সকল সড়ক ও নিচু এলাকা সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। অনেক বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢোকায় বিপাকে পড়েছে মানুষ। শহরের ব্যস্ততম মোড় ও সড়কে তেমন যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। প্রবল বৃষ্টির কারণে সাধারণ মানুষ বাসা থেকেই বের হতে পারেনি।

 প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানি এড়াতে জেলায় ৪০৯ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে দাকোপে ১১৮, বটিয়াঘাটায় ২৭, কয়রায় ১১৭, ডুমুরিয়ায় ২৫, পাইকগাছায় ৩২, তেরখাদায় ২২, রূপসায় ৩৯, ফুলতলায় ১৩ ও দিঘলিয়ায় ১৬টি। খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রণজিৎ কুমার সরকার বলেছেন, ‘৪০৯ আশ্রয়কেন্দ্রে আগতদের জন্য শুকনো খাবার, চাল ও টাকা বরাদ্দ আছে। আমরা সব প্রস্তুতি নিয়েছি। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ সোমবার দুপুর ২টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সভা করা হবে।’ খুলনা আবহাওয়া অফিসের জ্যৈষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে খুলনাসহ উপকূলীয় এলাকায় সিত্রাংয়ের প্রভাব শুরু হয়েছে। কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হচ্ছে এবং ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বাড়বে।’ ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’র প্রভাবে খুলনায় বাতাসের তীব্রতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। ২৪ অক্টোবর ২০২২।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল) অ্যাডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম তাহমিদুল ইসলাম বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোর পানির উচ্চতা স্বাভাবিক চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেতে পারে। আশঙ্কা করছি, সকাল ১০টার দিকে নদীতে জোয়ার আসবে। তখন যদি বাতাসের তীব্রতা থাকে তাহলে কোথাও কোথাও বাঁধ উপচে পানি ঢোকার সম্ভাবনা আছে।’ খুলনার কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের কয়েকটি এলাকা এর আওতায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২ বিভাগের আওতায় প্রায় ৭৮০ কিলোমিটার, খুলনা জেলায় ৫২২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আছে যা ১৯৬০ এর দশকে তৈরি। এরপর এখানকার এই বেড়িবাঁধগুলো আর সংস্কার করা হয়নি। এসব বাঁধ এখন ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের ধাক্কা আর সামাল দিতে পারছে না। জিও ব্যাগ ও বালুর বস্তার রিং বাঁধ দিয়ে কোনো রকমে টিকিয়ে রাখা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলো। খুলনার দাকোপ উপজেলার কালাবগী গ্রামের বাসিন্দা আসলাম শেখ বলেন, ‘প্রতিটি ঝড়ের সময়ই আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। আমাদের গ্রামের ২ পাশেই নদী। বিশেষ করে, শিবসা নদীর বড় ঢেউ আমাদেরকে আতঙ্কিত করে তোলে।’ ‘এই গ্রামের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ শিবসা নদীর কারণে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র নেই।’