UsharAlo logo
শনিবার, ১লা জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

koushikkln
ডিসেম্বর ১৬, ২০২২ ১১:০৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) মহান বিজয় দিবস-২০২২ উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে গল্লামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। প্রত্যুষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা দ্বারা সজ্জিত করা হয়।

গল্লামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মহানগর ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, কেসিসি’র মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা, রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আওয়ামী লীগ এবং এর অংগ ও সহযোগি সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

সকাল সাড়ে আটটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী। পরে সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, শিশু-কিশোর সংগঠন, কারারক্ষী, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট, গার্লস গাইড এর অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ এবং শরীরচর্চা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় কমিশনার প্রধান অতিথি হিসেবে কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন। পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান এসময়  উপস্থিত ছিলেন।

নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিস, পিআইডি’র আয়োজনে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের ওপর স্থিরচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগর ভবনে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী, রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ সাজিদ হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হানুরুর রশীদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, সাবেক মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ আলমগীর কবীর ও সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সরদার মাহাবুবার রহমান। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা, শিশুসদনসমূহে দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদজোহর নগরীর মসজিদসমূহে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সিনেমা হলসমূহে বিনা টিকিটে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর এবং ফুলতলার দক্ষিণডিহি রবীন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর সকাল থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত শিশুসহ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য বিনা টিকেটে উম্মুক্ত রাখা হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গিলাতলা শিশুপার্ক ও বয়রা শিশু পার্ক  বিনাটিকিটে শিশুদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে খুলনা বেতার বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। এছাড়াও দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পৃথক পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করে।

খুবিতে মহান বিজয় দিবস 

যথাযথ মর্যাদা ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মুখে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ শোভাযাত্রাসহ ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য অদম্য বাংলা চত্ত্বরে পৌঁছান।


বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য সর্বপ্রথম মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য অদম্য বাংলায় শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল, বিভিন্ন ডিসিপ্লিন, বিভিন্ন আবাসিক হল, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স কল্যাণ পরিষদ ও কর্মচারীবৃন্দসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার অমিত রায় চৌধুরী, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে সকাল ১০টায় চারুকলা স্কুলের আয়োজনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- বেলা ১২টায় অদম্য বাংলা চত্বরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে আলোকসজ্জা করা হয়।

খুলনা প্রেসক্লাবে আলোচনা সভা 

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকালে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম। সভা পরিচালনা করেন ক্লাবের  সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা ও যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্না। আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন, ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাহেব আলী ও মল্লিক সুধাংশু, সহ-সভাপতি মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ ও কোষাধ্যক্ষ এস এম কামাল হোসেন সহকারী প্রমুখ।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম, সহকারী সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, নির্বাহী মোঃ শাহ আলম, মোঃ আব্দুল হালিম, সদস্য ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলু, শেখ কামরুল আহসান, দীলিপ কুমার বর্মন, অস্থায়ী সদস্য শশাংক স্বর্ণকার, মিলন হোসেনসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।
এর আগে ১৬ ডিসেম্বর সকালে খুলনা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ গল্লামারী স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপাতি এস এম নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, ক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, সাবেক সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন ও ফারুক আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মল্লিক সুধাংশু, সহ-সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্না, সহকারী সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, নির্বাহী সদস্য মোঃ তরিকুল ইসলাম, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান রিয়াজ, ক্লাব সদস্য ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলু, অস্থায়ী সদস্য প্রবীর কুমার বিশ^াসসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।

কুয়েটে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এ যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস ২০২২ উদ্্যাপন করা হয়েছে। সকাল পৌনে ১১ টায় অডিটরিয়ামে আলোচনা সভা ও শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের অংশগ্রহণে শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডীন প্রফেসর ড. এ এন এম মিজানুর রহমান। আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে আলোচনা করেন বিশ^বিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর’ প্রফেসর ড. খুরশীদা বেগম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মতিন। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ হেলাল-আন-নাহিয়ান, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল হাসিব, আন্ত:বিশ^বিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ রুহুল আমিন, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সরদার শফিকুল ইসলাম, কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসিব সরদার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জনসংযোগ ও তথ্য শাখার সহকারী পরিচালক মনোজ কুমার মজুমদার।


সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসস্থ মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ‘দুর্বার বাংলা’র পাদদেশে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় বিএনসিসি’র একটি চৌকস দল সশস্ত্র সালাম জানান। এরপরপরই জাতির সূর্য সন্তান শহীদদের প্রতি বিশ^বিদ্যালয়ের পক্ষে পুস্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর। অতঃপর কুয়েট শিক্ষক সমিতি, পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ), অফিসার্স এসোসিয়েশন, ফজলুল হক হল, লালন শাহ্্ হল, খানজাহান আলী হল, ড. এম. এ. রশীদ হল, রোকেয়া হল, অমর একুশে হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, কর্মকর্তা সমিতি (আপগ্রেডেশন), কর্মচারী সমিতি, মাস্টাররোল কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে পুস্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এছাড়া, দিবসটি উদ্্যাপন উপলক্ষ্যে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসনিক ভবন, ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের বাসভবন এবং আবাসিক হলসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বেলা সাড়ে ৩টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শিক্ষক বনাম ছাত্র প্রীতি ফুটবল ম্যাচ এবং বাদ আসর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিনটি উদ্্যাপন করা হয়েছে।

খুলনায় বিজয় দিবসে বীর শহীদদের
প্রতি কালের কণ্ঠ শুভসংঘের শ্রদ্ধা


মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন কালের কণ্ঠ’র পাঠক সংগঠন শুভসংঘ খুলনা জেলা শাখার সদস্যরা। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে খুলনার গল্লামারী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালের কণ্ঠ খুলনার ব্যুরো প্রধান গৌরাঙ্গ নন্দী, কালের কণ্ঠ শুভসংঘ খুলনা জেলা শাখার সভাপতি বিপুল কান্তি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. আবু সাঈদ খান, দপ্তর সম্পাদক মো. আবু রায়হান খান, সহ-সম্পাদক সুরেশ মন্ডল, সদস্য সৌমেন কুন্ডু, স্বপন কুমার রায়, এস এম ইশতিয়াক মাহমুদ শাওন প্রমুখ।