ঊষার আলো ডেস্ক : বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ প্রদত্ত ভাষণের দিনটি “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ” দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে সোমবার খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচীর মধ্যে ৭ মার্চ বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রহমান খান এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে গভীরভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা ভাবে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ^বিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক গোলাম সারোয়ার আকরাম আজিজ, রেজিস্ট্রার ডা. খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. তসলিম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ড. এম এ হান্নান, নীল দলের পক্ষ থেকে সভাপতি ডাঃ মোঃ আশিকুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকেও পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ” দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি ১৯৪৭ সালে ‘রাষ্ট্র ভাষা সংক্রান্ত ২১ দফা ইশতেহার’ এর অন্যতম স্বাক্ষরকারী ছিলেন। আমি আরও সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি সকল ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের, যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা বাংলা, মহান স্বাধীনতা ও লাল সবুজের পতাকা। আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, বিদেশি বন্ধুসহ সকলস্তরের জনগণকে যাঁরা আমাদের অধিকার আদায় ও মুক্তিসংগ্রামে অসামান্য অবদান রেখেছেন।
তিনি আরও বলেন, “৭ই মার্চের ভাষণই ছিলো বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা ও উদ্দীপনা। ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালি জাতির জীবনে অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর ও জাতির জনকের জন্ম শতবাষির্কীতে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কর্মসূচী ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে রূপকল্প-২০২১, ২০৩০, ২০৪১ সহ ২১০০ সালের ডেল্টাপ্লান কে সামনে রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সে যাত্রায় দেশ, গণতন্ত্র ও সরকারবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের চলমান উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এই মহান দিবসে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করার উদাত্ত আহবান জানান