জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, গণহত্যার বিচার সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গেই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ জড়িত এবং গতিপথ নির্ধারিত হবে। এটি আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদি কৃতকর্মের নৈতিক পরীক্ষা—যা ন্যায়বিচার, মানবিকতা এবং গণতান্ত্রিক দায়বদ্ধতার এক অগ্নিপরীক্ষা। তবে রাষ্ট্রকে অবশ্যই অভিযুক্ত হিসেবে আওয়ামী লীগের ন্যায় বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, স্থায়ী কমিটির সদস্য তানিয়া রব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট কে এম জাবির, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী প্রমুখ।
দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘গণতন্ত্রের প্রকৃত সৌন্দর্য হলো—যেখানে নির্যাতিতের কণ্ঠ রাষ্ট্র সুরক্ষা দেয় এবং অভিযুক্তের জন্যও নিরপেক্ষ ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে। যদি কোনো রাষ্ট্র গণহত্যাকারী শক্তিকে বিচারের আওতার বাইরে রাখে, তবে সে রাষ্ট্র দর্শনগতভাবেই অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।’
সভার রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলা হয়—গণহত্যা মানবতার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ অপরাধ।
যখন কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ ওঠে এবং সেই অভিযোগ একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন হয়, তখন রাষ্ট্রের প্রধান নৈতিক কর্তব্য হয়— ১) বিচারপ্রক্রিয়াকে স্বাধীন ও প্রভাবমুক্ত রাখা; ২) অভিযুক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সর্বোপরি; ৩) ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
ভূ-রাজনীতিসহ দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং দলের সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা শেষে সভা মুলতবি ঘোষণা করা হয়।
ঊষার আলো-এসএ