ঊষার আলো রিপোর্ট : কিশোরীদের বেশির ভাগ সময় কাটে স্কুলে পড়াশোনার ব্যস্ততা নয়তো দুরন্তপনায়। সকালে স্কুল, বিকেলে কোচিং, ছুটির দিনে ঘোরাঘুরি নয়তো আড্ডা—কোনো কিছুতেই খামতি নেই। গরমের তীব্রতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটতে হয় তাদের। অত্যধিক গরমে ও ঘামে নাজেহাল হয়ে পড়ে।
সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রোদে অতিবেগুনি রশ্মি সবচেয়ে বেশি থাকে। এ সময়ই স্কুল, কোচিং, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন কাজে বাইরে থাকে কিশোরীরা। পানিশূন্যতা, অতিবেগুনি রশ্মি, রোদ, ধুলা-ময়লা মিলে মলিন হয়ে পড়ে ত্বক ও চুল। সতেজ বয়সটাতে নিস্তেজ হয়ে পড়ে তারা।
এ সময় পোশাক ও দিনযাপনে কিছু প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ সতেজ রাখতে পারে কিশোরীদের।
ছাতা বা টুপি
নানা প্রয়োজনে কিশোরীদের বাইরে বেরোতেই হয়। এ সময় রোদ মোকাবেলা করতে ছাতা বা টুপি ব্যবহার করতে হবে। ফ্যাশনেবল ছাতা কিনতে পাওয়া যায় বাজারে।
পোশাকে আরাম
ভাপসা গরম বা প্রচণ্ড রোদের এ সময় ঢিলেঢালা কাটের আরামদায়ক পোশাক পরতে হবে। মাঝেমধ্যে হয়তো বৃষ্টির দেখা মিলছে, তাতেও কমছে না গরমের দাপট। সুতি ও লিনেনের নরম পোশাকে গরমে আরাম বেশি পাওয়া যায়। হালকা রঙের একরঙা বা ফুলেল মোটিফের পোশাক বেছে নিতে পারেন। ফ্যাশন ও আরাম দুই-ই মিলবে। কম ঘামে এবং বাতাস চলাচলের উপযোগী পোশাক বেছে নিতে হবে। ফ্যাশনের সঙ্গে যেন আরামটাও নিশ্চিত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
পানি ও ছোট্ট ফ্যান
বাইরে গেলে সঙ্গে পানির বোতল রাখতে হবে। পানিশূন্যতা গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগায়। এতে অনেক সময় স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। ত্বক নিস্তেজ হয়ে পড়ে। কাস্টমাইজড অনেক পানির বোতল পাওয়া যায় বাজারে। এসব বোতলে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত পানি ঠাণ্ডা থাকে। গরমে ঘন ঘন পানি পান করতে হবে। দাবদাহে ত্বকের সুরক্ষায় ও ঘাম থেকে বাঁচতে ছোট্ট পোর্টেবল ফ্যান কাছে রাখতে হবে। স্কুল অথবা কাঁধ ব্যাগেই এমন ফ্যান সেটে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত সচল থাকে ফ্যানগুলো। বাতাস হয়তো বেশি না। তার পরও এই গরমে সামান্য শান্তির জন্য ফ্যানগুলো মন্দ নয়। উপরন্তু ফ্যাশনেবলও।
ত্বকের খেয়াল
বয়ঃসন্ধিতে হরমোনজনিত কারণে কিশোরীদের শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে। এ সময় বাড়ির বাইরে থাকার ফলে ঘাম ও ধুলাবালিতে চুল ও ত্বকের বেশ ক্ষতি হয়। এ জন্য ত্বক ও চুলের ঘরোয়াভাবে যত্ন নিতে হবে। রূপচর্চায় বড়দের সাহায্য নিতে পারে কিশোরীরা। এই বয়সে বড়দের প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না। ঘরে তৈরি প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে হবে। রূপচর্চায় শসা, দুধ, দই, মধু, বেসন ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।
ঘরে ছিমছাম
গরমের সময় প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে থাকা যাবে না। ঘরে ছিমছাম ও আরামদায়ক পোশাক পরলে ভালো লাগবে। বই পাঠ, গান শোনা, নিজের যত্নের মধ্য দিয়ে ঘরের সময়টাকে উপভোগ্য করে তুলতে পারলে সতেজতা স্বাভাবিকভাবেই ফুটে উঠবে শরীরে।
ঊষার আলো-এসএ