UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গোয়ালন্দে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ভাগাড়

usharalodesk
মার্চ ৫, ২০২৪ ১২:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ভবন উদ্বোধনের পর থেকে চার বছর ধরে ওই ভবনটি তালাবদ্ধ হয়ে আছে। ভবনের সামনে নিয়মিত বসছে সাপ্তাহিক গরুর হাট। পাশাপাশি পৌর শহরের আবর্জনা ফেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নির্মিত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এখন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ।

গোয়ালন্দ পৌরসভা কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নির্মিত গোয়ালন্দ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি স্থানীয় পৌর শহরের গরুর হাট এলাকায় অবস্থিত। দুই কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণকাজ শেষে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সটি ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন করেন তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। কিন্তু কোনো কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় উদ্বোধনের পর থেকে চার বছর ধরে মুক্তিযোদ্ধা ভবনটি তালাবদ্ধ হয়ে আছে। এদিকে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে নিয়মিত সাপ্তাহিক গরুর হাট বসছে।

পাশাপাশি পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা শহরের ময়লা-আবর্জনা এনে সেখানে ফেলছেন। এতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটির চারপাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ সৃষ্টি হয়েছে। সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

এদিকে গোয়ালন্দ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুস সামাদ মোল্লা বলেন, ‘গোয়ালন্দ উপজেলা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকে মারা গেছেন।

অবশিষ্ট যাঁরা বেঁচে আছি, আমরা আমাদের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে নিয়মিত বসতে চাই। কিন্তু উদ্বোধনের পর থেকে গোয়ালন্দ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি চার বছর ধরে তালাবদ্ধ হয়ে আছে।’

গোয়ালন্দ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম খান জানিয়েছেন, উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে গরুর হাট ছিল। পরে শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষায় ২০১২ সালে সেখান থেকে গরুর হাট সরিয়ে আনা হয় বর্তমান স্থানে (রেলগেটের পাশে)। এরপর গরুর হাটের একপাশে গোয়ালন্দ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হয়।

পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, ‘ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্রকল্পের আওতায় গোয়ালন্দ পৌর শহরের বর্জ্য দিয়ে সার তৈরি করা হবে। এ জন্য ১০০ শতাংশ জায়গা নিয়ে ডাম্পিং পয়েন্ট করা হচ্ছে। এরই মধ্যে মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। গাড়িতে করে ময়লা নেওয়ার জন্য রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। ডাম্পিং পয়েন্টের বাকি কাজ দ্রুত চলছে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কাজটি শেষ হবে। তখন আর গোয়ালন্দ পৌর শহর এলাকার কোথাও কোনো ময়লা-আবর্জনা জমে থাকবে না। এ ছাড়া হাটের জায়গা সম্প্রসারণ করে মুক্তিযোদ্ধা ভবনের সামনে থেকে গুরুর হাটটি শিগগিরই সরানো হবে।’

গোয়ালন্দ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বর্তমান সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গোয়ালন্দ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নিয়মিত কার্যক্রম দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু করা হবে।’

ঊষার আলো-এসএ