খুলনা প্রতিনিধি : ঘূর্নিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে খুলনায় ১৬০০টি ঘর আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নগরী ও জেলায় বিভিন্ন এলাকায় উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছ। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের প্রাথমকি সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকা, ৩০ মেট্রিক টন চাল ও এক হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার সরকার জানান, প্রাথমিকভাবে জেলার ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয় করা হয়েছে। জেলায় মোট এক হাজার ৬০০ টি ঘর ভেঙেছে। এই ঘরগুলি আংশিক ক্ষতি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, জেলার মৎস্য ও কৃষিতেও ক্ষতি হয়েছে। তবে তার পরিমান খুবই কম। স্ব স্ব দপ্তর সেগুলি নির্ণয় করছে। পূর্নাঙ্গ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে ২ থেকে ৩ দিন সময় লেগে যাবে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘ঝড়ের সময়ে উপকূলীয় কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলার প্রতি বেশি নজর রাখা হয়েছিল। খুলনাতে কোনো প্রানহানির খবর পাওয়া যায়নি। এছঅড়া নগরীর খালিশপুরে বাউন্ডারী ওয়াল ভেঙ্গে পড়েছে। উন্নয় কর্মী মাহবুব আলম বাদশার বাড়ির দক্ষিণ পাশের ৩৫ বছরের পুরাতন এবং বৃষ্টিতে নরম হয়ে যাওয়ায় বাউন্ডারি ওয়ালের আনুমানিক ৩০-৩৫ ফুট অংশ ভেঙে পড়ে। বৃষ্টির কারণে বাড়ির লোকজন এবং শিশুরা ঘরের মধ্যে থাকায় কারো ক্ষতি হয়নি। তবে দেয়ালের পাশে মাঝারি আকারের বিভিন্ন প্রজাতির ১০-১৫ টা গাছ দেওয়াল চাপা পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দৌলতপুর মুহসিন স্কুল মাঠের পাশে থাকা ্েকটি বড় গাছ উপড়ে পড়েছে। তবে কারো কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
অন্যদিকে, এবারের ঝড়ে জলোচ্ছ্বাস না হওয়ায় মৎস্য ও কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতি খুবই কম হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে জানা গেছে।
(ঊষার আলো-এফএসপি)