গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ৬৮ হাজার ৮৬৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকার রাজস্ব আয় করেছে, যা এর আগের বছরের তুলনায় ১২.২৫ শতাংশ বেশি এবং এ যাবৎকালের মধ্যে কোনো একক বছরের সর্বোচ্চ আয়।চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস সূত্র এতথ্য জানিয়েছে।
সূত্র মতে, বিগত ২০২২-২৩ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিলো ৬১ হাজার ৩৫০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
দেশের ৯০ শতাংশ আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্পন্ন হয় বৃহত্তম এই সমুদ্রবন্দর থেকে। মিথ্যা ঘোষণার জন্য যথাযথ জরিমানা আদায়, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সঠিক শুল্কায়ন মূল্য নির্ধারণসহ অনিয়ম প্রতিরোধে নজরদারি বাড়ানোর কারণে রাজস্ব আয় বেড়েছে বলে জানায় কাস্টমস কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান বলেন, ‘আমরা আমদানিতে অনিয়ম রোধ করতে নজরদারি বাড়িয়েছি। পণ্যের প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ এবং নমুনা দেখে পণ্যের প্রকৃত এইচএস কোড নির্ধারণ সাপেক্ষে শুল্ক আদায়ের ওপর জোর দিয়েছি। এছাড়া, বকেয়া রাজস্ব আদায় এবং মামলা নিষ্পত্তি করার প্রতি গুরুত্বারোপ করায় সামগ্রিকভাবে রাজস্ব আয় বেড়েছে।’
তিনি বলেন, পেট্রোবাংলাসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছে বিপুল অংকের রাজস্ব এখনও বকেয়া রয়ে গেছে। এসব রাজস্ব পাওয়া গেলে গত অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা সহজে অর্জিত হতো বলে তিনি মনে করেন।
ফাইজুর রহমান জানান, পেট্রোবাংলার নিকট ১৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব বকেয়া থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি গতবছর মাত্র ৮০০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। অথচ আমরা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৯ হাজার কোটি টাকারও কম টাকা পিছিয়ে আছি।
উল্লেখ্য, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৭৭ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৬৮ হাজার ৮৬৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
হাইস্পিড ডিজেল, ফার্নেস অয়েল, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস, আপেল, সিমেন্ট ক্লিংকার, পাম অয়েল, গুড়া দুধ, আপেল, স্ক্র্যাপ জাহাজ, অটোমোবাইল, ভাঙা পাথর ও পেট্রোলিয়াম তেলসহ আমদানি করা বিভিন্ন পণ্য থেকে বড় অংকের রাজস্ব আয় এসেছে।