ঊষার আলো ডেক্স : ঈদের ছুটি শুরু হয়েছিল ১ মে থেকে। ছুটির সাথে সাথে বহির্নোঙরের জাহাজের সারিও লম্বা হয়েছে। ঈদের পরদিন গতকাল (৪ এপ্রিল) বুধবার জেটিতে ভেড়ানোর অপেক্ষায় বহির্নোঙরে কনটেইনার জাহাজের সংখ্যা ১৭।
জটের জন্য জাহাজ জেটিতে ভেড়ানোর জন্য অপেক্ষা করতে হয় অনেক। এতে পণ্য হাতে পেতে দেরি হয়। ঈদের পর এখন পর্যন্ত কারখানা খোলেনি। তাই তেমন সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু জট তাড়াতাড়ি না কমলে পণ্য হাতে পেতে দেরি হয়ে যাবে। এর ফলে প্রভাব পড়বে শিল্প খাতে।
বন্দর ও শিপিং এজেন্টস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতি বছরই ঈদের সময় বহির্নোঙরের জাহাজের সংখ্যা বেড়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে প্রায় দেড়-দুই সপ্তাহের মতো লেগে যায়।
বন্দরসচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, জাহাজের সংখ্যা বাড়লেও সেটা সাময়িক। আমদানিকারকেরা পণ্য নেওয়া শুরু করলে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এবারের ঈদের ছুটিতে প্রায় আট দিন কারখানা বন্ধ থাকছে। এতে জরুরি পণ্য ছাড়া বন্দর চত্বর থেকে অন্য পণ্য খালাস হচ্ছে না। তাই জাহাজের সংখ্যাও বাড়বে।
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, শনিবার থেকে পোশাক কারখানা খুলবে। বন্দর থেকে এই সময় পণ্য খালাস পুরোদমে শুরু হবে। আর পণ্য খালাস হলে বহির্নোঙরের জাহাজের সংখ্যা কমে যাবে।
ঊষার আলো-(এসএইস)