ঊষার আলো রিপোর্ট : রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে উদ্যোগী হয়েছে দেশের ব্যাংকগুলো। এখন থেকে দেশে রেমিট্যান্স আনতে কোনো ধরনের চার্জ নেবে না ব্যাংকগুলো। ফলে, চার্জ ছাড়াই রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন প্রবাসীরা। একই সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও বিদেশে থাকা দেশীয় এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো খোলা থাকবে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত সোমবার (৭ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
রবিবার (৬ নভেম্বর) ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাফেদার চেয়ারম্যান এবং সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. আফজাল করিম, এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেনসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা।
বৈঠক শেষে সোনালী ব্যাংকের এমডি আফজাল করিম জানিয়েছেন, বাফেদা ও এবিবি যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করেছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেমিট্যান্সের ওপর চার্জ মওকুফ করা হয়েছে। এখন থেকে ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্সে কোনো ধরনের চার্জ নেবে না। কোনো ধরনের খরচ ছাড়াই থেকে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন। প্রবাসীরা যেন সপ্তাহের সাত দিনেই রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেন, সেজন্য ছুটির দিনেও বিদেশে থাকা দেশীয় এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি জানান, রপ্তানি আয় নগদায়নে ডলার রেট বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে। এতদিন ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা ছিল। তবে, রেমিট্যান্সের রেট আগের মতোই সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা বহাল রাখা হয়েছে।
এর আগে ডলার সংকট নিরসনে গত ২৩ অক্টোবর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের বিপরীতে ডলার কেনার সর্বোচ্চ দর ৫০ পয়সা কমিয়ে ১০৭ টাকা করা হয়। রপ্তানি বিল ৫০ পয়সা বাড়িয়ে করা হয় ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা। গত ২৬ সেপ্টেম্বর এক সভায় প্রবাসী আয় ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। রপ্তানি আয় নির্ধারণ করা হয় ৯৯ টাকা। গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রথম ব্যাংকারদের সভায় এক্সপোর্ট প্রসিডে ৯৯ টাকা ও রেমিট্যান্সের ডলার ১০৮ টাকায় কেনার সিদ্ধান্ত হয়।
এতদিন বিদেশ থেকে যেকোনো পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠাতে কোনো ধরনের কাগজপত্র লাগত না। এখন চার্জ ছাড়াই রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন তারা। এছাড়া, রেমিট্যান্সের ওপর সরকারের দেওয়া আড়াই শতাংশ প্রণোদনা তো অব্যাহত রয়েছে। এত পদক্ষেপ নিয়েও রেমিট্যান্স বাড়াতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ধারাবাহিকভাবে কমছে রেমিট্যান্স।