UsharAlo logo
শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছেঁড়া জিন্স প্যান্ট বিক্রি হল ৭৭ লাখ টাকায়!

pial
অক্টোবর ১৯, ২০২২ ৫:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : এত দামে কখনো কোনো ডেনিমের পুরনো প্যান্ট না কি বিক্রি হয়নি এর আগে। এটি শুধু পুরনোই নয়, একেবারে ময়লা-ছেঁড়া-ফাটা প্যান্ট! কিন্তু কী এমন রয়েছে এই প্যান্টে, যে এত দাম উঠল? এটি কি আগে কোনো সেলিব্রিটি পরেছিলেন? নাকি এর মধ্যে রয়েছে বহু মূল্য কিছু?

সম্প্রতি সময়ে লিভাইস কোম্পানির একটি প্যান্ট আলোচনায় উঠে এসেছে। আমেরিকায় নিলাম হয় প্যান্টটি নিয়ে। বর্ণবাদী স্লোগান সম্বলিত ওই প্যান্টের দাম উঠেছে ৭৬ হাজার মার্কিন ডলার, যা কিনা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৭ লাখ ২৩ টাকা। কিন্তু সব মিলিয়ে ক্রেতাকে পরিশোধ করতে হয়েছে ৮৮ লাখ ৪১ হাজার টাকারও বেশি।

এবার প্রশ্ন উঠছে, এ প্যান্টটির কেন এত দাম? কারণ এটি এখনো পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে পুরনো জিন্স প্যান্টের একটি ও ডেনিম প্রস্তুতকারক আন্তর্জাতিক কোম্পানি লিভাইসের তৈরি সবচেয়ে পুরনো জিন্সগুলোর একটি হল এটি।
কত বয়স হতে পারে এ জিন্সের? প্রায় ১৮৮০ সাল নাগাদ বানানো এ প্যান্ট। ডেনিমের ইতিহাস-চর্চাবিদ মাইকেল হ্যারিস সংবাদমাধ্যমকে জানান, এখনো পর্যন্ত যত পুরনো জিন্স পাওয়া গেছে, তার মধ্যে এই প্যান্টটিই সবচেয়ে প্রাচীন। এঠি লিভাইসের একেবারে গোড়ার দিকের প্যান্ট, তখন কোমরে ফাঁস মারা জিন্স বিক্রি করত লিভাইস। এটিও ঠিক তেমনই একটি জিন্স।

কাইলে হুপার্ট নামের একজন এ জিন্সটি কিনেছেন। তিনি এর আগে এমন ধরনের ভিনটেজ বহু জামাকাপড় কিনেছেন। এবং বিভিন্ন দেশে তিনি এই জাতীয় জামাকাপড় পাঠানও। তিনিও জানান, এটি তার সংগ্রহের অন্যতম একটি নিদর্শন হিসেবেই থাকবে। তার নিজের সংগ্রহে এত প্রাচীন কোনো কিছুই নেই।

তবে কোথায় ছিল এই প্যান্টটি? আর কে পরেছিলেন এটি? তার কোনো ইতিহাস আছে কি?

মাইকেল হ্যারিস জানান, এটি কয়েক বছর আগে একটি পরিত্যক্ত খনি থেকে পাওয়া যায়। বহু বছর আগে আমেরিকার সেই খনিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সে সময়ে শক্ত জিন্সের প্যান্ট বানানো হত খনি শ্রমিকদের জন্য। তার কারণ পাতলা প্যান্ট বেশি দিন টিকত না তাদের। সেই কারণেই এ ধরনের প্যান্টের প্রচলন শুরু হয়। আমেরিকার জামাকাপড়ের ইতিহাসে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। সেই ইতিহাসেরই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে থেকে যাবে এ প্যান্ট। সূত্র: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, নিউ ইয়র্ক পোস্ট।

(ঊষার আলো-এফএসপি)